ইনসাইড টক

‘বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধা আছে কিন্তু তারা সেই চেতনা ধারণ করেন না’


প্রকাশ: 28/12/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দলের প্রত্যেক কর্মী মাঠে থাকবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের যে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ, সরকার যা যা করেছে মানুষের জন্য, দেশের জন্য সে বিষয়গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেবে যে আওয়ামী লীগই দেশের  মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মাঠে বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় এস এম কামাল হোসেন এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে দেশের মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না, প্রতারিত হয় না। মানুষ কিছু না কিছু পায়। মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে বলে বাংলাদেশ আজকে বিশ্ব দরবারে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অর্থনীতির দিক দিয়েও বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন শেখ হাসিনা আছে যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আর কোনটিতে নাই। যিনি সততা এবং সাহসিকতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারবিরোধী জোট অতীতেও ছিল এখন আবার নতুন করে হচ্ছে। এটা থাকবে। তাকে করে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। ২০১৩-২০১৪ তেও ছিল এবং ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ছিল। সে সময় সরাসরি খালদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন তো বিএনপির কোনো নেতৃত্বই নাই। এখন নতুন নতুন জোট গঠন হলেও এরা আগে থেকেই ছিল যেমন আ স ম আব্দুর বর, কাদের সিদ্দিকী, ড. কামাল হোসেন এরা সবাই ২০১৮ সালে বিএনপির সাথে এক সাথে জোট করেছিল। এখন তারা আলাদা আলাদা জোট গঠন করছে। 

আয়োমী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুইটি পক্ষ আছে। একটি হলো স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি। যার নেতৃত্ব দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর আরেকটি পক্ষ আছে যেটি স্বাধীনতা বিপক্ষের শক্তি। যারা যুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। যারা বাংলোদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়, যারা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। এই শক্তির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আর যারা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চায় সেই শক্তি হল আওয়ামী লীগ। রাজনীতিতে কয়টি জোট গঠন হল সেটি বড় বিষয় নয়, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো দেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা। অর্থাৎ একটি হল মুক্তিযুদ্ধের ধারা এবং আরেকটি হল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের ধারা। এখন প্রশ্ন হল বিএনপিতে কি তাহলে মুক্তিযোদ্ধা নেই? উত্তরে আমি বলবো অবশ্যই তাদের দলে মুক্তিযোদ্ধা আছে কিন্তু তারা সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন না। ধারণ করেন না কারণ তাদের নীতি-আদর্শ হল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাই হয়েছে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর জন্য। যে কারণে বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও তারা দলের নীতি আদর্শ ধারণ করে থাকে, মুক্তিযুদ্ধর চেতনা নয়। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭