ইনসাইড বাংলাদেশ

২০২২ সালে দেশের আলোচিত ১৩ ঘটনা প্রবাহ


প্রকাশ: 31/12/2022


Thumbnail

শেষ হয়ে গেল আরও একটি বছর, ২০২২। নানা ঘটন-অঘটনের সাক্ষী বছরটি। রাজনীতি, গণতন্ত্র, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ  নানা ইস্যুতে দেশে ছিল অস্থিরতা, বিক্ষোভ, দাঙ্গা ও সহিংসতা। ২০২২ সালে আলোচিত কয়েকটি ঘটনায় আলোকপাত করা হলো-


১. মেট্রোরেল উদ্বোধন: ২৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো দিনটি। ওই দিন প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যানজটের নগরীতে ঠিক সময়ে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর আশা দেখাচ্ছে আধুনিক এই গণপরিবহন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক, আজ বাংলাদেশ তথা ঢাকায় আমরা দিতে পারলাম, সংযোজিত করতে পারলাম। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।” তিনি আরও “নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আমরা আজকে আরেকটি নতুন অহঙ্কারের পালক বাংলাদেশের মুকুটে সংযোজিত করলাম।” 

উদ্বোধন ঘিরে এদিন উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। উত্তরা-১৫ সেক্টরের দিয়াবাড়ি মাঠে সুধী সমাবেশে মিলিত হন বিপুল সংখ্যক মানুষ।

২. আওয়ামী লীগের কাউন্সিল: গত ২৪ ডিসেম্বর সদ্য সমাপ্ত হলো আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় কাউন্সিল। এই সন্মেলনে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের পুর্নরায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় ২২ তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আর এর আগে ভ্রাতৃপ্রতীম সহযোগী সংগঠনগুলোর সন্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সন্মেলন, ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন, ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলন, ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সন্মেলন, ৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সন্মেলন, ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বছরও শুরু হয়েছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে এবং বছরও শেষ হলো সাংগঠনিক কার্যক্রম দিয়ে। সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যস্ত থাকলেও শেষ সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা-পর্যায়ের সম্মেলন করেছে দলটি। সমান তালে চলছে প্রচার-প্রচারণাও। এই প্রচার-প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে গত ২৪ নভেম্বর যশোর, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে মহাসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। ওই তিন মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি মহাসমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেন।

৩. ১০ ডিসেম্বর: বছরের সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং উত্তাপ্ত ছড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে। কি হবে ১০? এই প্রশ্ন ভারি হয়ে উঠেছিল রাজনীতির বাতাস। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। এদিনে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। দলটির নেতা আমানউল্লাহ আমান বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের কথায় দেশ চলবে না। ১০ ডিসেম্বরের পর বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। ১০ ডিসেম্বরের পর তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে। ১০ ডিসেম্বর অতিক্রম হয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুই ঘটেনি। তবে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে দেশব্যাপী এক আশঙ্ক তৈরি হয়েছিল বৈকি। বিশেষ করে ১০ 

ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ব্যাপারে দরটির অনড় অবস্থান এবং অন্যদিকে প্রশাসনের নারাজ অবস্থান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল। বিশেষ করে ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ এবং তাদের সরে যেতে বললে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা রাজনীতিতে এক অনিশ্চিত বার্তা ছড়িয়েছিল। ৭ ডিসেম্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগও। তবে সব কিছুকে বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যত অনিশ্চিত আর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল তার কিছুই ঘটেনি। বিএনপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। 

উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গ্রেফতার হন। এর আগে ৭ ডিসেম্বর বিএনপি একাধিক নেতা নয়াপল্টন থেকে গ্রেফতার হন।

৪. জঙ্গি ছিনতাই: বছরের প্রথমার্ধে প্রায় শতাধিক তরুণের হিজত পালনের উদ্দেশ্যে নিখোজ হওয়ার ঘটনায় জঙ্গি তৎপতার আশঙ্কা করেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সে অনুযায়ী সতর্কতা মূলক অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এরই মধ্যে খোদ রাজধানীর আলাদত প্রাঙ্গণ থেকে দিনে-দুপুরে 'ফিল্মি স্টাইলে' দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা নিয়ে কোনো কোনো মহল প্রশ্ন তোলে। ওই ঘটনার পর দুই দফায় পালাতে ব্যর্থ হওয়া কয়েকজন জঙ্গিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মেলেনি পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির সন্ধান।

৫. মকবুল হোসন সহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসর: চলতি বছরের অক্টোবরে হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সাবেক তথ্য সচিব মকবুল হোসেন। অক্টোবর জুড়ে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হন তিনি। ১৬ অক্টোবর তাকে অবসরে পাঠায় সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ না দেখিয়ে ওই কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে। তবে শর্ত থাকে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে।

৬. রিজার্ভে টান ও আইএফএফ ঋণ প্রস্তাব: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে রিজার্ভের পরিমাণও দিন দিন কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪০০ কোটি (৩৪ বিলিয়ন) ডলারের আশপাশে ওঠানামা করছে। এ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ কয়েকটি তহবিলে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৮০০ কোটি (৮ বিলিয়ন) ডলার। এ বিনিয়োগ করা অর্থ বাদ দিলে রিজার্ভ থাকে ২৬০০ কোটি (২৬ বিলিয়ন) ডলার, যা দিয়ে বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত আমদানির মধ্যে সাড়ে চার মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব। অর্থাৎ খরচ করার মতো রিজার্ভ এখন ২৬ বিলিয়ন ডলার।

এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) ঋণ সহায়তা পেতে আবেদন করে বাংলাদেশ। 

ঋণ সহায়তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রিজার্ভের হিসাব রাখাসহ বেশকিছু সংস্কারের পরামর্শ দেয় আইএমএফ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তাতে সায় দেয়। এর পরের দিনই অর্থমন্ত্রী জানান, আইএমএফ ও দেশীয় দুই হিসাবই থাকবে। এতে আইএমএফ থেকে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণপ্রাপ্তির পথও অনেকটা পরিষ্কার হয়।

৭. জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সরকার গত ৫ আগস্ট মধ্যরাত থেকে দেশে সকল প্রকার জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করেছে। দাম বেড়েছে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রোলে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর একজন ক্রেতাকে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকায়, কেরোসিন ১১৪ টাকায়, অকটেন ১৩৫ টাকায় ও প্রতি লিটার পেট্রোল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে। জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৫১ শতাংশের বেশি বাড়ানো নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। যদিও জবাবে সরকার বলেছে, পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য একবারে তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

৮. আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড: গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওই দিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ছিল সরগরম।

৯. ডলার সংকট: দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির পরিমাণ ৬০৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেখানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিনেছিল প্রায় ৭৯৩ কোটি ডলার।

১০. লোডশেডিং: করোনা-পরবর্তীতে এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের ন্যায় দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ডিজেলভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হতে থাকে। ফলে গত ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানিবিষয়ক এক বৈঠকে এক ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

এছাড়া সপ্তাহে এক দিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ, যানবাহনে জ্বালানির ব্যবহার কমানো, অফিসের সময়সূচি এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনা এবং রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা কঠোর করা হয়। তবে, এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা থাকলেও বেশির ভাগ স্থানে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হয়। ফলে মানুষের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে।

১১. পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় তৈরি সেতুটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, প্রতিটি স্প্যান লম্বায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট)। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (৩.৮২ মাইল)।এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু। সেতুটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১২. বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড: গত ৪ জুন রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এতে রাসায়নিকের অনেকগুলো কনটেইনার একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের জানালা ভেঙে যায়। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় মারা যায় প্রায় অর্ধ শতাধিক এবং আহত হয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ।

১৩. নির্বাচন কমিশন গঠন: বছরের শুরুতে অন্যতম আর্কষণ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। দেশের প্রথমবারের মতো আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন। যে সার্চ কমিটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কমিশন গঠন করতে নাম প্রস্তাব আহ্বান 

করেন। এর পর সার্চ কমিটি কতগুলো নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত নাম থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭