স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সাবেক মহাসচিব এবং ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, সরকারের করোনা টিকা দান কর্মসূচি এখনও চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে এখন করোনার চতুর্থ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ধরার পর ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতও যথার্থ ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দর, স্থল বন্দর সহ সীমান্ত এলাকা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোও কিন্তু সতর্কতা স্বরূপ প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনই দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ ৭ শনাক্ত হয়েছে। পূর্বে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতো এটিও দেশের করোনা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলবে কিনা এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা বিষয়ক আমাদের যে জাতীয় কারিগরি কমিটি আছে সেটি কাজ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিটি সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে এবং সরকারও সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছে বলে আমরা লক্ষ্য করছি। সরকার তার জায়গা থেকে জন সাধারণকে সতর্ক করছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমাদের সতর্ক হতে হবে। এখন যে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে সেটা আামদের সবারই নেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের দেশে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে সেটি অমিক্রণেরই একটা সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এর আগেও যে সমস্ত ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিলো সেগুলোর সব কয়টিই বেশ সংক্রমক ছিলো। সুতরাং সে বিবেচনা থেকে করোনার দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ আমাদের নিতেই হবে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে আমাদের যে সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিধি আছে সেগুলো যথার্থভাবে মেনে চলতে হবে। যেমন, মাস্ক পরা, হাত ধোঁয়া ইত্যাদি।
বিএফ-৭ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আামাদের দেশে কতটা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করবে জানতে চাইলে ডা. এম এ আজিজ বলেন, এটি এখনই বলা মুসকিল। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে কত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হবে, আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা কি হবে, করোনা পরিস্থিতি কি রকম ভয়াবহ হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা অনেক কঠিন। কারণ চীনে এখন করোনার কি ধরনের ক্রাইসিস চলছে তার কোনো তথ্য তারা বাইরে দিচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও চেষ্টা করছে বিএফ-৭ ভ্যারিয়েন্ট চীনে কতটুকু ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে বা সেখানে এই ভ্যারিয়েন্টে শনাক্তের হার কেমন। কিন্তু চীন কোনো ধরনের তথ্য প্রকাশ করছে না। চীনের এখনকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্ব অন্ধাকারে রয়েছে। বিএফ-৭ ভ্যারিয়েন্টে চীনের শনাক্তের হার বা সেখানকার মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য পেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটা সুন্দর পদক্ষেপ নিতে পারবে এবং কিছু দিক নির্দেশনা হয়তো বিশ্বকে জানাতে পারবে। কিন্তু চীন সেই সহযোগিতা করছে না।