ইনসাইড টক

‘সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া নাম সবর্স্বদের জোটবদ্ধ রাজনীতিতে গুরুত্ব নেই’


প্রকাশ: 02/01/2023


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, আগামী বছর জানুয়ারিতে আমাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে এ বছর হবে নির্বাচনী বছর। অর্থাৎ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। এই তৎপরতার মধ্যে রাজনৈতিক জোট গঠন একটি অন্যতম আকর্ষণ থাকবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জোট গঠিতও হয়েছে। যদি এগুলো অধিকাংশই নাম সবর্স্ব। আবার নাম সবর্স্ব দল নিয়ে রাজনৈতিক জোট গঠন এটিও নতুন কিছু নয়। আমরা অতীতেও এ ধরনের একাধিক জোট গঠন হতে দেখেছি।

২০২৪ এর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে হিসেবে এ বছর হলো নির্বাচনের বছর। ইতোমধ্যে রাজনীতি একাধিক জোট গঠিত হয়েছে। আগামীতে আরও এক বা একাধিক জোট গঠন হতে পারে বলে রাজনীতিতে আলোচনা রয়েছে। নাম সবর্স্ব দল নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়া ভোটের রাজনীতিতে কি গুরুত্ব বহন করে এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, জোটবদ্ধ হওয়া এসব দলগুলোর যদি নিজস্ব কোনো শক্তি বা জনসমর্থন থাকতো তাহলে তো জোট গঠন করতে হতো না। যারা জোটবদ্ধ হয়েছে তাদের প্রত্যেকের একটি মতাদর্শ এবং অভিন্নতা রয়েছে বলেই তারা নিজেদেরকে সমমনা মনে করে এবং জোটবদ্ধ হয়। এভাবে ছোট ছোট কতগুলো দল জোটবদ্ধ হয়েছে। তবে এই ছোট দলগুলোর শক্তি এবং জনসমর্থন কতটুকু আছে সেটা সকলের জানা আছে। এমনকি তারা নিজেরাও জানে। সুতরাং এগুলো রাজনীতিতে সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া রাজনীতিতে এদের আর কোনো ভূমিকা আছে বলে মনে হয় না। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা মূলত দুটি। একটি হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ এবং এর শরিক ১৪ দল। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত কেন্দ্রিক যে জোট সেটি। এই দুই মেরু নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি বিভক্ত। এর বাইরে অন্যান্য দলগুলোর জোটবদ্ধ বা তৎপরতা যাই থাকুক না কেন তারা বিএনপি-জামায়াত পক্ষেই যাবে। যেটা আমরা এখন লক্ষ্য করছি। তবে নির্বাচনের আগে কি হবে সেটা বলা মুসকিল। কারণ আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে দেখেছি যে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিলো এবং তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছিলো। সুতরাং এবার বিএনপি কোন ফর্মে নির্বাচন যায় সেটি একটা দেখা বিষয়। তবে তাদের সাথে যে জামায়াত থাকবে সেটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। 

বিএনপি এবং জোটবদ্ধ তার সমমনা দলগুলোর জনসমর্থনের ব্যাপাররে প্রথিতযশা এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মনে করেন, জোট গঠন করার চেয়ে জনসমর্থন অর্জনের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সেটি লক্ষ্য করছি না। বিএনপির যে ২৭ দফা বিশেষ করে, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসব দাবির ব্যাপারে জনগণের মধ্যে কোন সাড়া নাই। কাজেই জোটবদ্ধ হয়ে কে কি করলো সেটা মূখ্য বিষয় নয়। বিএনপি তো ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দাবি দাওয়া দিয়েছিলো কিন্তু সে সমস্ত দাবি তারা আদায় করতে পারেনি। কারণ জনসমর্থন ছিলো। অর্থাৎ জনসমর্থন ছাড়া শুধুমাত্র জোটবদ্ধ হয়ে কোন দাবি আদায় করা সম্ভব নয়। তারা জোটবদ্ধ হয়ে শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্ব দিকটা দেখা পারে। এর মধ্য দিয়ে তারা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকষর্ণ করতে পারে, তাদের সমর্থন পেতে পারে কিন্তু জনসমর্থন পাওয়া সম্ভব নয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭