ইনসাইড টক

‘বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মুখরোচক কথা বলা খুব সহজ’


প্রকাশ: 04/01/2023


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, রাজনীতিতে এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অতি ডান-বাম সবাই একাকার হয়ে গেছে। অতি ডান-বাম সবাই আজকে বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলন করছে। তাদের সাথে কর্মসূচি পালন করছে। আজকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক আদর্শে চলছে। কিন্তু ইদানিংকালে যে সমস্ত চেতনা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ কি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় চলবে নাকি সাম্প্রদায়িক চেতনায় চলবে। বাংলাদেশ কি আবার সেই পাকিস্তানের মতো আমলাভিত্তিক সাম্প্রদায়িক ধারায় ফিরে যাবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলোর জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, এর আগে বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলো। আমরা বিএনপির শাসনামল দেখেছি। আবার বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামল দেখেছি। তাহলে বাংলাদেশ কি আবার সেই নৈরাজ্যকর, অস্থিতিশীল, ব্যাপক লুটপাট, সন্ত্রাস, সহিংসতা ধারায় ফিরে যাবে, নাকি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শকে সামনে রেখে অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে সমুন্নত রেখে ধাপে ধাপে ২০৪১ সালে যে লক্ষ্য উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত থাকবে। এটিই এখন জাতির জন্য প্রধান বিবেচ্য বিষয়। 

তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি শান্তি চায় বা স্থিতিশীলতা চায় এবং দেশের উন্নয়ন চায়, নাকি দেশে আবার একটি অরাজকতা ফিরে আসুক আর সেখানে মানুষের জীবন বিপন্ন হোক। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মুখরোচক কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কে কি করেছে সেটির আমল নামাই হলো বিবেচ্য বিষয়। এখন সেই আমল নামা দেখলে বিএনপি-জামায়াতের কোনো অবস্থানই পাওয়া যায় না। তারা দেশ এবং জাতিকে কিছু দিয়েছে সে রকম দৃষ্টান্ত নেই। আর জামায়াত তো একটি যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে উচ্চ আদালতে রায়ে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এই নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত প্রকাশ করার সুযোগ নেই। মানবতার বিরদ্ধে একাত্তরে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছে। কাজেই স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি করার কোনো অধিকারই থাকা উচিত নয়। বাহাত্তর সালের সংবিধানে ১২ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধু তা নিষিদ্ধও করেছিলেন। কোনো সাম্প্রতিক রাজনীতি করা যাবে না। কিন্তু পরবর্তী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এসে তা পরিবর্তন করে দেশে সাম্প্রদায়িত রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। সেটি তিনি করেন নিজের স্বার্থের কারণে। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭