৮টি জঙ্গি সংগঠনকে অর্থায়ন: ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় জামায়াত

স্বাধীনতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলাম আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্য নতুন করে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে এ সম্পর্কে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

আটটি জঙ্গি সংগঠনকে লালন-পালন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে জামায়াত। এই সংগঠনগুলোকে আবার নতুন করে সচল করার জন্য অর্থায়ন করছে এই সংগঠনটি। পাশাপাশি আন্তার্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে এই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে যোগসূত্র করিয়ে দেওয়ার কাজটিও করছে স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তি। আর এর মূল লক্ষ্য হলো, আগামী নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ভেতর বড় ধরনের সহিংসতা এবং নাশকতা তৈরি করা। এই সন্ত্রাস এবং নাশকতা তৈরি করার মাধ্যমে জামায়াত একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। জামায়াতের মূল লক্ষ্য হলো আগামী নির্বাচন না করতে দেওয়া।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আটটি জঙ্গি সংগঠনকে জামায়াত অর্থায়ন করছে এবং এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এখন বিভিন্নভাবে বিস্তৃত হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দফায় দফায় অপারেশন করে কিছু কিছু জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রস্তুতিকালীন সময়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেতাদেরকে আটক করছে। কিন্তু এখনো অনেক জঙ্গি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অনুসন্ধানে দেখা গেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের তালেবানদের সঙ্গে এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর একটি যোগসূত্র তৈরি করার কাজটি জামায়াতে ইসলাম করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জামায়াতের আমির জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তার পুত্র জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সূত্র ধরেই অনুসন্ধান করে দেখা যায়, জামায়াত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলো যেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ দেশের ভেতর নাশকতা তৈরি করতে পারে, সেজন্য তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতার কাজ করছে। এ জন্য জামায়াতের একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। যে সেলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামের বর্তমান আমিরের পূত্র এবং আরও কিছু জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি বড় অংশ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোর কলকাঠি নাড়াচ্ছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলো সাম্প্রতিক সময়ে আবার অর্থ পাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সংশ্রিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হলি আর্টিজান ঘটনার পর জঙ্গি সংগঠনগুলো অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াত সংগঠনগুলোকে আবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো এখন আসলে জামায়াতেরই অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। যেহেতু জামায়াতের উপর সরকারে নজরদারি এবং কড়াকড়ি রয়েছে এবং রাজনৈতিক সংগঠনের একটি আবরণে জামায়াত নিজেদেরকে পরিচালিত করছে, সেই জন্যই এই জঙ্গি সংগঠনগুলোই এখন সরকার বিরোধী বিভিন্ন নাশকতার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এই জঙ্গি সংগঠনগুলো একদিকে যেমন তরুণদেরকে বিভিন্ন রকম বার্তা দিয়ে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছে, তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং তথাকথিত ইসলাম কায়েমের নামে তাদেরকে বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য জামায়াত একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার নীল নকশা তৈরি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, এখন জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে এবং এ জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত।