প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের নাস্তিকতা এবং ইসলামী ব্যাংকের বিরোধীতা


প্রকাশ: 07/01/2023


Thumbnail

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটির প্রধান আদর্শ হলো নাস্তিকতা প্রচার। পত্রিকা দু’টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানাভাবে বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদকে উস্কে দিয়েছে এবং নাস্তিকতার পক্ষে এক ধরণের নীরব প্রচারণা করছে। প্রথম আলোর বিভিন্ন লেখা, বুদ্ধিজীবী ও সুশীলদের অবস্থান এবং নানারকম প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো নাস্তিকতাকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলামী চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাস করে এবং ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। এই মানুষদেরকে আস্তে আস্তে ইসলামের আদর্শ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা এবং নাস্তিকতায় বিশ্বাসীদেরকে সামনে নিয়ে আসাই  প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মিশন। আর একারণেই প্রথম আলো মহানবি (সা.) এর বিকৃত কার্টুন তৈরী করেছিলো তাঁদের পত্রিকায়।

প্রথম আলো তাঁদের অফিস কক্ষে যে টয়লেটগুলো নির্মাণ করেছিলো সেগুলো সব কেবলামুখী করে তৈরী করেছিলো নাস্তিকতার আদর্শ থেকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করার জন্যই। বিভিন্ন সময় এই পত্রিকাটির বিভিন্ন লেখালেখিতে নাস্তিকতার পৃষ্ঠপোষকতা করতে দেখা গেছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান নিজেই একজন নাস্তিক। তিনি একসময় কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন এবং প্রকাশ্যে নাস্তিকতাকে সমর্থন করতেন। অন্যদিকে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামও পশ্চিমা নাস্তিক্যবাদকে ধারণ করেন এবং পশ্চিমা নাস্তিকতা আদর্শের অন্যতম প্রচারক। তাঁর মেয়ে তাহমিনা আনাম লন্ডনে অবস্থান করেন এবং সেখান থেকেই তিনি তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননা তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। এই প্রথম আলো, ডেইলি স্টার গ্রুপ সবসময় ইসলামকে বিকৃত করা এবং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর কাজে ব্যাস্ত থাকে। আর এই নাস্তিকতাকে প্রচারের উদ্দেশেই প্রথম আলো ডেইলি স্টার এখন ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বিরোধীতা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংক বিরোধী প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের প্রচারণার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেনো ধ্বংস হয়ে যায় সেটি নিশ্চিত করা। কারণ, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশের বেশী মানুষ মুসলমান। তাঁরা নানা কারণেই ইসলামী ব্যাংকিং এর ব্যাপারে আগ্রহী। এইজন্য ৮০’র দশকের পর থেকেই বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিকশিত হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ইসলামী ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় থেকেই মতিউর রহমান ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরোধীতা করেছিলেন। এই সময়ে তিনি ‘সাপ্তাহিক একতা’, ‘ভোরের কাগজ’ এ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। পরবর্তিতে ইসলামি ব্যাংকের যখন হাত বদল হয় এবং এটিকে জামায়েতের রাহুমুক্ত করা হয় তখন মতিউর রহমানরা নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে থাকেন। এখন তাঁরা আবার ইসলামী ব্যাংকের বিরোধীতা করছেন।

বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হবার পর এর সাফল্যের ধারায় বেশ কিছু ইসলামী ব্যাংকিং চালু হয়েছে। অনেক মূল ধারার ব্যাংকও ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে তাঁদের ব্যাংকে। ফলে, বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড়িয়েছে। এই ভিত্তিটিকে নষ্ট করে দেয়ার মিশনে নেমেছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। যদি তাঁরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে তবে জনগণ ইসলামী ব্যাংকের উপর আস্থা হারাবে। এবং এই আস্থা হারানোর ফলে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অকেজো এটি প্রচার করা সহজ হবে। একই সাথে এর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে। এরকম একটি মিশন থেকেই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এখন ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। আর একারণেই একের পর এক অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরী করছে যেনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। যে আটটি ব্যাংক নিয়ে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার ধারাবাহীকভাবে প্রতিবেদন তৈরী করছে সবগুলোই ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আলোচিত এবং প্রশংসিত। আর একারণেই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার তাঁদের মূল লক্ষ্য নাস্তিকতাকে প্রচারের লক্ষ্যেই ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসের মিশনে নেমেছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন আলেম এবং ইসলামী চিন্তাবিদরা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭