মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। রাত থেকে বৃষ্টি ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝড়ে পড়ায় বেড়ে গেছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রাও। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে প্রকৃতি।কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা কাজে যেতে ব্যাঘাত ঘটছে।
রোববার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের কবলে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষ।
কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে কষ্টে ভুগছে নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগ। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তারপরও সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া জানান, রোববার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।