ইনসাইড টক

‘এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে ইভিএম ব্যবহারে ঝামেলা হবে না’


প্রকাশ: 08/01/2023


Thumbnail

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (বিডিইউ) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে দীর্ঘসময় অধ্যাপনা করেছেন। তিনি বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজধানীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং এমআরপি-সহ বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (বিডিইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এনআইডি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা সিস্টেম গড়ে তুলেছে। কাজেই তাদের সিস্টেমের ওপর জনগণের আস্থা তৈরি হয়েছে। যদি সার্ভিস সেক্টরে কিছু দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে কেউ যখন এনআইডি সংশোধন করতে যায় তখন তাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে এনআইডি নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো ভোটগ্রহণ সম্পাদন করা। যেহেতু ঘটনা প্রেক্ষিতে বা দীর্ঘদিন ধরে এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে আসছে তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার বিষয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে এবং এ সংশয় তৈরি হওয়া খুব স্বাভাবিক।

এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে যাওয়া এবং ইভিএম নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এখন এনআইডি যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যায় তাহলে আমি বলবো এটি আসলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই কাজ। জনগণকে আইডি কার্ড দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই অভিজ্ঞতা নাই। কিন্তু এখন যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কাজটি ভালোভাবে করতে পারে সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যার হওয়ার কথা নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা অন্য যেখানেই এনআইডি থাকুক না কেন ইভিএম ব্যবহারে কোনও ঝামেলা হওয়ার কথা না। এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে বরং সুবিধা আছে সেটি হলো উভয়ের কাজের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরি হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ তারা নিজেরা করবে, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের কাজ তারা করবে। তবে এখন বড় ব্যাপার হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে কাজটি কতটুকু সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে সেটি দেখার বিষয়। এতোদিন আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিলাম এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনআইডি গেলে তাদের ওপর আস্থা তৈরি করতে হবে। সে জায়গায় সাধারণ মানুষের শঙ্কা রয়েছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুধীজনের মধ্যে ইভিএম এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে এ ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল বলেন, আমাদের দেশে যাদেরকে আমরা সুধীজন বলে জানি তারা প্রকৃতপক্ষে নিরপেক্ষ না। এরা প্রত্যেকে বিভিন্ন দলের সমর্থক। আমাদের দেশে যে সংগঠনগুলো কাজ করে তারা সবাই কোন না কোন দলের সমর্থনকারী এবং তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন কথা বলতে পারেন না। ইভিএমের বাস্তব ব্যবহার আপনাকে দেখতে হবে সেখানে কি ঘটছে। এখন পর্যন্ত ইভিএম দিয়ে এক হাজারের ওপর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কোন ইভিএম দিয়ে কোন ভোটে কারচুপি হয়েছে এমন দাবি কেউ করতে পারেননি। যে ইভিএম দিয়ে এক হাজার নির্বাচন হয়ে গেল, এর সাথে পোলিং অফিসার, পুলিশ, সাধারণ মানুষ সহ অনেকে জড়িত ছিল কেউ কিন্তু এই যন্ত্রটিকে খারাপ বলতে পারেননি। সেখানে দু’একটি সংগঠন ইভিএম নিয়ে কথা বললে ইভিএম এরই বা কি যায় আসে। ইভিএম একটি মাল্টি-ফাংশনাল যন্ত্র। কখন কি হয় সব ধরনে ডাটা সেখানে রেকর্ড থাকে। সুতরাং ইভিএমে কারচুপির কোন প্রশ্নই আসে না। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭