‘রাজনীতি নয়, সাধারণ মানুষের চিন্তা রুটি-রুজি নিয়ে’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এক-এগার এর কুশলীবরা দেশে এখনও সক্রিয় আছে। বিএনপি চায় আবার একটি এক-এগার সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক। যে সরকার এর আগে তিন মাসের জন্য এসে দুই বছর ক্ষমতায় থেকেছে। এ রকম একটি সরকার কায়েম করতে বিএনপির তৎপরতা রয়েছে। তারা জানে যে, তাদের জন আস্থা নেই। কাজেই তারা এখন বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে যাতে করে আবার একটি এক-এগার সরকার ব্যবস্থা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির সেই ফাঁদে আর পা দেবে না। দেশের মানুষও এ ধরনের কোনো সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় না। আমাদের সংবিধানেও এমন কোনো ধারনা নেই।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে আমরা মাঠে আছি সেটা বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে নয়। আজকে আওয়ামী লীগের যে কর্মসূচি ছিলো সেটি পূর্ব নির্ধারিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ গতকাল কর্মসূচি করেছে। আজকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর এবং দক্ষিণের আলাদা দুটি আলোচনা সভা রয়েছে। এটা বিএনপির কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়। আমরা কখনোই বিএনপি সহ অন্যান্য কোনো বিরোধী দলের পাল্টা কর্মসূচি দেই না। আমাদের সভাপতি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয়া যাবে না। 

সাধারণ মানুষ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ রাজনীতি নিয়ে নয়, রুটি-রুচি নিয়ে চিন্তা করে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নন। এখন পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে আছে তাতে করে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই। কোনো ধরনের আশঙ্কা থাকলে আছে আগুন সন্ত্রাসের। যেটি বিএনপি-জামায়াত করে থাকে। তবে আওয়ামী লীগ অতীতের মতো কোনো আগুন সন্ত্রাস দেশে হতে দেবে না। বিএনপি কর্মসূচি দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের কর্মসূচি আমলে নেয় না। 

ভোটের আগে আওয়ামী লীগ জোটের পরিধি বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল রয়েছে। আর এই ১৪ দল এখন সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। এখন পর্যন্ত নতুন করে জোটের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে হবে না- এমন নিশ্চিয়তাও নেই। ভবিষ্যতের পরিস্থিতিই বলে দেবে সে সময় কি হবে।