ইনসাইড পলিটিক্স

গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলো না জামায়াত


প্রকাশ: 11/01/2023


Thumbnail

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে বুধবার (১১ জানুয়ারি) গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি জামায়াত। এ কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে জামায়াত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় একটি আলোচনা সভাও করেছে দলটি। 

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির দিনে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি না দিয়ে সভার আয়োজন করেছে জামায়াত। জামায়াতের গণমিছিলে প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদ ও দলের আমিরসহ গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির এবং সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন চলবে। যারা গণতন্ত্র মানতে চায় না, তাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করবে জামায়াত। 

ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন। আওয়ামী লীগ সেই পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করেছে। আবার তা হাইজ্যাক করে সেই ফর্মুলাকে নিজেদের দাবি করছে। তাও যদি হয়, তাহলে তা এখন মেনে নিচ্ছেন না কেন?’

মুজিবুর বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের মতো কিছু উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তার যোগসাজশে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। মইন উ আহমেদ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সেদিন থেকেই এই দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে জামায়াতসহ অন্য অনেক রাজনৈতিক দল।

মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘সরকারের কাছে বিক্রীত কিছু মিডিয়া’ সাম্প্রতিক একটি মিছিলের ফুটেজ দেখিয়ে বলেছে, জামায়াত একটি কর্মসূচি পালনের সময় বাড়াবাড়ি করছে, যা সত্য নয়। তাঁর দাবি, মিছিলে পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য হামলা চালিয়েছেন।

মুজিবুর বলেন, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান গত ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা ঘোষণা করার পর তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের লোকজন কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রাস্ট, স্কুল, কলেজ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে দখলবাজ সরকারে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও ফখরুদ্দিন মানিক।  

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে জামায়াত বিএনপি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে প্রথম কর্মসূচি ছিল ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল। ওই দিন জামায়াতও ঢাকায় একই কর্মসূচি পালন করে। সেদিন রাজধানীর পল্টন, মালিবাগসহ কয়েকটি এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭