কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে ৫ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষজন পড়ছে বিপাকে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে যাত্রীসহ মাঝিরাও পড়েছেন বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদরের মোগলবাসা ঘাটের মাঝি আব্দুল জলিল বলেন, একে তো কনকনে ঠান্ডা তার ওপর ঘন কুয়াশা। এ সময় নদীতে পানি কম থাকে ফলে নৌকা চলতে খুব সমস্যা। অনেক সময় দিক ভুলে অন্যচরে ঢুকে যাই। যাত্রীদের সঠিক সময়ে পৌছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে কম করে হলেও ৩ থেকে ৪ হাজার কম্বলের প্রয়োজন। কিন্তু সরকারিভাবে ৫ শত কম্বল পেয়েছি।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা পাঁচ দিন ধরে কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত ছাড়াও বৃষ্টিও হতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।