ইনসাইড থট

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মী গড়ার আঁতুড় ঘর ছাত্রলীগের কর্মীদের মূল্যায়ন প্রয়োজন


প্রকাশ: 12/01/2023


Thumbnail

আজ ১২ জানুয়ারি শওকত, ওয়ালী, মোহসিন তিন ছাত্রলীগ নেতার শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৮০ সালের এই দিনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পেটোয়া বাহিনীর সহায়তায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে সারাশরীর চুরমার করে নির্মমভাবে এই তিনজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করেছিল। সেই তিন মুজিব সৈনিকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আজকের লেখা শুরু করছি।

গত ৬ জানুয়ারি বাংলাইনসাইডার অনলাইনে ‘ছাত্রলীগ পরিচয় কি অযোগ্যতা?‘ শিরোনামে সৈয়দ বোরহান কবীরের লেখাটা পড়লাম। অন্যান্য অনেক পাঠকের মত আমিও প্রতি শুক্রবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সৈয়দ বোরহান কবীরের সাপ্তাহিক লেখা পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকি এবং মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লেখককে ক্ষুদে বার্তা পাঠাই। সেদিনও লেখাটি পড়ার পর প্রতিক্রিয়া থেকে আজকের লেখা।
তিনি লিখেছেন, ’৭৫-এর পর এই প্রথম সরাসরি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করা কোনো কর্মকর্তা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্ব পেলেন। কবির বিন আনোয়ার মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছেন।  মাত্র ১৯ দিনের মাথায় অবসরে পাঠানো হয়েছে। বিগত মন্ত্রিপরিষদ সচিব দুই দফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেও কবির বিন আনোয়ারের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি‘। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাওয়ার কি কোনো যোগ্যতাই এদের নেই। এভাবে আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখার প্রত্যাশায় যারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তারা এখন হতাশায় ডুকরে কাঁদেন। শুধু ছাত্রলীগ থেকে নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন, দুঃসময়ে কষ্ট করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য নিজের চাকরি ঝুঁকিতে ফেলেছেন-এমন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সুসময়ে কেন বঞ্চিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাজনীতি থেকে সযত্নে দূরে থেকে যারা নিজেদের ক্যারিয়ার গড়েছেন। মাখন-রুটি খেয়ে বড় হয়েছেন। ছাত্ররাজনীতির চেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকছেন। তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ সরকারে এবং রাজনীতিতে। রাজনীতিতেও এখন ‘ছাত্রলীগ’ যেন এক অপরাধ। অযোগ্যতা‘।

আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করেছি, নিশ্চয়ই একমত পোষণ করবো যে, কর্মী সংগ্রহে সাধারণতঃ সৎ, চরিত্রবান, মেধাবী, ভাল বিতার্কিক, ভাল খেলোয়াড়, ইত্যাদি ভাল ভাল গুনাগুন সম্পন্ন ছাত্রদের প্রাধ্যন্য দেওয়া হয়েছে। তাদেরই মধ্যে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা মুজিবীয় সৈনিক কবির বিন আনোয়ার। কবির বিন আনোয়ারদের মত মেধাবী ছাত্রলীগ নেতারা শুধু সরকারি চাকরিতেই নয়, সর্বত্রই তাদের প্রতি এক ধরনের উপেক্ষা এবং নাক সিটকানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ছাত্রলীগের কোনো ছেলেমেয়ে যদি মেধার জোরে সরকারি চাকরি পায়, তাহলে বলা হয় তদবিরে চাকরি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের মূল রাজনীতিতে ছাত্রলীগ ঠাঁই পেলেও সমালোচনা হয়।

আমাদের সকলের নিশ্চয়ই মনে আছে, বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্প ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিদেশি গুড়া দুধ কোম্পানির আর্থিক সহযোগিতায় একটি মিথ্যা গবেষণা রিপোর্ট প্রচার করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন দেশের বাইরে ছিলেন। একজন উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা ঐ ষড়যন্ত্রকারী গবেষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বিজয়ী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্প রক্ষা পেয়েছিল। ঐ কর্মকর্তা একজন দেশপ্রেমিক মুজিবীয় সৈনিক ছিলেন বিধায় সরকারী কর্মকর্তা হয়েও দেশের স্বার্থে  দুঃসাহস প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সচিব পদোন্নতি প্রাপ্তিতে ঐ কর্মকর্তাকে ‘আনস্মার্ট‘ অভিহিত করে পদোন্নতিতে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু ঐ কর্মকর্তা পরবর্তিতে যোগ্যতা প্রমাণ করেই সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। মুজিবাদর্শের সৈনিকদের বঞ্চিত করার এমনি অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতাকামী প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী গড়ার আতুড়ঘর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই সংগঠনটি আওয়ামী লীগের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে বিবেচিত হয়। দেশের রাজনীতিতে অসংখ্য খ্যাতিমান রাজনীতিবিদদের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে এই ছাত্র সংগঠনে। এই দেশে যত বড় বড় রাজনৈতিক অর্জন তা ছাত্রলীগের হাত ধরেই এসেছে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ পরবর্তি সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯১-৯৬ ও  ২০০১-০৮ বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের মোকাবেলাসহ দেশের ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  অবদান অনস্বীকার্য। 

কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন ছাত্রনেতার লক্ষ্য থাকে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা, ব্যক্তিগত আচরনে ও চলাফেরায় সর্বদা সজাগ থাকে। নিজেকে একজন যোগ্য নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে। অনেক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মনোনয়ন নিয়ে ভোটে নির্বাচিত ভিপি-জিএস হয়ে বা ঐ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতি শেষে  নেতারা যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবে, সেই লক্ষ্যে নিজেকে গড়ে তোলে। এছাড়া সকলেই জাতীয় নেতা হবে না। ছাত্রলীগের অসংখ্য মেধাবী নেতাকর্মী ছাত্ররাজনীতি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নশেষে বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে সরকারের প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরীতে যোগদান করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সচিব বা অন্য উচ্চ পদে পদোন্নতি হলে বলা হয়, সচিব পদের আর ইজ্জত রইলো না‘ অথবা বলা হয় প্রশাসন দলীয়করন করা হয়েছে। কবির বিন আনোয়াররা যেমনি সরকারী চাকুরীতে অবহেলিত, ঠিক একইভাবে রাজনীতিতেও ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি-জিএসরা। 

বিএনপির শাসনামলে ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শুধুমাত্র বাকসু (৮৮-৮৯) নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত পুরো প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। সেই দুর্দিনের কাণ্ডারি নির্বাচিত ভিপি-জিএসরা বর্তমানে কোথায় কিভাবে পড়ে আছে? কে তাদের খোঁজ রাখে। অনুসন্ধান করে পাওয়া গেছে, কোন পদ-পদবী ছাড়াই তারা নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন। ’৯৪-৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন এনামুল হক শামীম। সেই কঠিন সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না ও ১৯৯২ সালে  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মেধাবী ছাত্রনেতা মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিতে পারেননি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারন সম্পাদক রিপন-রোটন, সোহাগ-জাকির, সোহাগ-নাজমুলসহ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকরা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান না পেলেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সাথে নির্বাচিত কাউন্সিলর বিএনপির একনিষ্ঠকর্মী ঠিকই স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার পদবী পেয়ে স্থানীয় ত্যাগী পরীক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতাদের অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। ঢাকা মহানগরে থানা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে মেধাবী, উচ্চশিক্ষিত, সাবেক তুখোড় সিনিয়র ছাত্রনেতা প্রার্থী হলেও আওয়ামীলীগ বিরোধী পরিবারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর নাম আলোচিত হচ্ছে সভাপতি পদের জন্য।

মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর উপজেলার স্থানীয় কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (১৯৮০ ও ১৯৮১) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত ভিপি-জিএসরা খুবই আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সেই দুঃসময়ে শ্রীনগরে আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছিলাম। ভিপি-জিএস এর দায়িত্ব পালন শেষে শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সহসভাপতি পদবী নিয়ে সন্তুষ্টি ও সফলতার সাথে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। মনঃকষ্টের বিষয় হলো সেই সময়ের নির্বাচনে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি দলীয় প্যানেলের একজন সম্পাদক প্রার্থী ঢাকায় গিয়ে বর্তমানে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বনে গেছেন। ফলে, সামাজিকভাবে বিব্রত হই‘।

মাঠের খেলা যেমন একটি সমন্বিত টিমওয়ার্ক। যেখানে জেতার জন্য সবাইকে অবদান রাখতে হয়। খেলার মতো রাজনীতিতেও টিমওয়ার্ক লাগে। নেতার বিশ্বস্ত, পরীক্ষিত, যোগ্য সহযোগী লাগে। লাগে সমঝোতা, বোঝাপড়া এবং সমন্বয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বর্তমান বিএনপির সিনিয়র নেতার বাবা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তখন কৃষি ও খাদ্য একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। সেসময় ধানের পোকা মারার জন্য কীটনাশক আমদানির নির্দেশ থাকলেও সচিব মহোদয় ষড়যন্ত্র করে কীটনাশক আমদানিতে মন্থর গতি অবলম্বন করেছিলেন। যা হবার তাই হয়েছিল। সারাদেশে পোকায় আক্রান্ত হয়ে ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার জরুরিভিত্তিতে খাদ্য আমদানির পদক্ষেপ নিলেও সেই একই সচিব ষড়যন্ত্র করে আমদানীকৃত খাদ্যের জাহাজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাদ্য সরবরাহ একমাস বিলম্বিত করেছিল। কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়, ৭৫ এর  মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আমরা জাতির পিতা হারাই, দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যায়। 

স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে বর্তমানে সৎ ও দলনিরপেক্ষতার লেবাসে বিএনপি-জামায়াত এর অসংখ্য লোক সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। ওরা সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দলনিরপেক্ষতার লেবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন কালে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখছে। ওরা মনে মনে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। সুতরাং মুজিব সৈনিকেরা, স্বাধীনতাকামী ছাত্রলীগের কর্মীরা, সাবধান হই। দোষেগুনেই মানুষ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি করলেও ১৯৭৪ সালের সেই সচিবের মত ষড়যন্ত্র করে দেশ ধ্বংস করবেনা। নিজ দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করবেনা।

১৯৭৫ সালের পরবর্তিতে ছাত্ররাজনীতি কে কলুষিত করে ধংস করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এবার ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। রাজনীতিতেও এখন ‘ছাত্রলীগ’ যেন এক অপরাধ। প্রশ্ন হলো ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে যদি সরকারে, রাজনীতিতে, ব্যবসা-বানিজ্যে, সকল ক্ষেত্রেই যদি অবজ্ঞা-অবহেলার সুর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তবে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী গড়ার আতুড়ঘর বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কর্মীগড়ার কাজে ভাটা পরবে। সাধারণ ছাত্রদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকাভুক্ত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী গড়ার কাজ ব্যহত হলে  রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্বের রক্তপ্রবাহ বন্ধ হবে। তাহলেই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর  রাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করার যে প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। 

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ‘ বিনির্মাণে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী গড়ার আতুড়ঘর বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কর্মী গড়ার জন্য সরকার, রাজনীতি সহ সকল ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের পরীক্ষিত কর্মীদের পরিকল্পনা করে কাজে লাগানো প্রয়োজন, মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে। সাধারণ ছাত্ররা শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আকৃষ্ট হবে। সদস্যপদ গ্রহণে উৎসাহিত হবে। আওয়ামীলীগ টিকে থাকবে, দেশ বাঁচবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭