ইনসাইড টক

‘এক সময় আনন্দ পেলেও এখন একা কাজ করে তৃপ্তি পাই না’


প্রকাশ: 13/01/2023


Thumbnail

নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে খলনায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হন। সাধারণত খল অভিনেতাদের বাঁকা চোখে দেখা হলেও তার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। বর্তমানে তিনি ঢালিউডের প্রথম সারির খল অভিনেতা। বলা হচ্ছে মিশা সওদাগরের কথা।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন মিশা সওদাগর। এখন পর্যন্ত নয়শোও বেশি সিনেমায় অভিনয় করে রেকর্ড গড়েছেন শক্তিমান এই অভিনেতা। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এখন সমান তালে কাজ করছেন ওটিটি মাধ্যমেও। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘কাবাডি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে এই অভিনেতার সাথে দেখা গিয়েছে আরেক জনপ্রিয় খল অভিনেতা ডিপজলকেও। নতুন কাজ ও সমসাময়িক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের  সাথে কথা বলেছেন তিনি

বাংলা ইনসাইডার: বড় পর্দার পর ওটিটি মাধ্যমেও কাজ শুরু করেছেন। পার্থক্য কতটুকু ফিল করছেন?

মিশা সওদাগর: বড় পর্দার সাথে কোন কিছুর তুলনা করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথের সাথে যেমন কারও তুলনা নয় না ঠিক তেমনি চলচ্চিত্র হল আকাশ। সুতরাং চলচ্চিত্রের সাথে কোন কিছুর তুলনা করা যাবে না। ওটিটি সব ধরণের শিল্পীদের তীর্থস্থান। এখানে যত্ন সহকারে সব সব ধরণের শিল্পীরা কাজ করতে পারে। চলচ্চিত্র নির্মাণে যে ফর্মুলা আছে নায়ক-নায়িকাকে কেন্দ্র করে করতে হয় ওটিটিতে তেমন ঝামেলা নেই। গল্পের উপর নির্ভর করে কনটেন্টটি নির্মাণ করলে মেধাবান শিল্পীরা সফল হবেই।

বাংলা ইনসাইডার: প্রযোজনার কোন পরিকল্পনা আছে কী?

মিশা সওদাগর: আমি অনেক আগে প্রযোজনা করেছি। প্রয়াত নায়ক বন্ধু মান্না ও মৌসুমীকে নিয়ে বানিয়েছিলাম। তবে তেমন ব্যবসা সফল হয়নি। আসলে ছবি প্রযোজনা করতে অর্থের প্রয়োজন সেটি আমাদের মত মানুষের মত দ্বারা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের পারিশ্রমিক তো নায়কদের মত না। আর প্রযোজনা করতে সময়ের দরকার। আমি যেহেতু অভিনয় করি সেই সময়টি আমার নেই। ছবি বানানো এক জিনিস আর সফলতা অন্য জিনিস। আমার সামর্থ্য ও সময় কোনটিই নেই।

বাংলা ইনসাইডার: বর্তমান শিল্পী সমিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

মিশা সওদাগর: এখন যে সভাপতি আছে আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তী ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব। তিনি এখন ভালো মনের মানুষ। তাঁর দ্বারা কোন অন্যায় হবে না এটি আমার বিশ্বাস। পাশাপাশি বর্তমানে সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে নিপুণ। আগে থেকেই দেখতাম, মেয়েটি কাজ করত। তখনও নির্বাচন নিয়ে কোন মাথা ঘামাঘামি নেই। সে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকটা সমিতিকে, মানুষকে সাহায্য করত। মানুষকে সেবা করার ইচ্ছাটা নিপুণের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। সব কিছু মিলিয়ে কোন ত্রুটি এখনও আমার চোখে পড়েনি।

বাংলা ইনসাইডার: শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে আইনি জটিলতা থাকা সত্ত্বেও সদস্যপদ ফিরে পাওয়া শিল্পীদের পরিচয়পত্রে নিপুণের স্বাক্ষর করা দেখা গিয়েছে/ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

মিশা সওদাগর: আমি শিল্পী সমিতির একজন সাধারণ মেম্বার। আমার কোন পদ নেই। আমি বর্তমান কমিটির এডভাইজারও না। সেহেতু কেন তার সাইন আছে, এ বিষয়ে আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। যদি কেউ অভিযোগ না করে তাহলে সেটা ক্রাইম হবে না।

বাংলা ইনসাইডার:  দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?

মিশা সওদাগর: আকাঙ্ক্ষা করে লাভ কি? নতুন সিনেমা, শিল্পীর অভাবে ইন্ডাস্ট্রিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! নতুন নতুন লোক না আসলে তো ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাবে না। হুমায়ুন ফরিদী, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, এটিএম শামসুজ্জামান, সাদেক বাচ্চু সহ আরো অনেকেই ছিলেন। তখন কাজে অনেক প্রতিযোগিতা হতো। এখন আমি একা কি করব? একজন শিল্পী দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কম করে হলেও প্রধান চরিত্রের জন্য ৩০ জন অপরিহার্য শিল্পী লাগবে। এক সময় আনন্দ পেলেও এখন একা কাজ করে তৃপ্তি পাই না। যেখানে সিনেমা নেই, সেখানেও আমার হাতে অসংখ্য নতুন সিনেমার প্রস্তাব। কিছুদিন আগে এফডিসি প্রবেশ করেই নতুন তিনটি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। নতুন আরো শিল্পী আসতে হবে। সবাই মিলে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। সবাই একত্র হয়ে কাজ করলেই ফের ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাবে।

বাংলা ইনসাইডার: বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?

মিশা সওদাগর: চরকির একটি কাজ শেষ করলাম। চলচ্চিত্র করছি আহারে জীবন, বিট্রে, আগুন, পর্দার আড়ালে। ডিসেম্বরে শুরু করেছি 'কিল হিম' ছবির শুটিং। ফেব্রুয়ারিতে বড় বাজেটের 'জ্যাকপট' ছবিতে কাজ করার কথা রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭