ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফুকুশিমার দূষিত পানি সাগরে ফেলবে জাপান


প্রকাশ: 14/01/2023


Thumbnail

ধ্বংস হওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০ লাখ টনের বেশি পানি সমুদ্রে নিষ্কাশন করবে জাপান।  

২০১১ সালের ফুকুশিমা বিপর্যয় ছিল চেরনোবিলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা।

প্রতিদিন প্ল্যান্টটি ১০০ কিউবিক মিটার দূষিত পানি উৎপাদন করে, যা ভূগর্ভস্থ পানি, সমুদ্রের পানি এবং চুল্লিগুলোকে ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহৃত পানির সংমিশ্রণ। তারপর তা ফিল্টার করে ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়।  এই ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা ১.৩ মিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি।  

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, জাপানের এ প্রস্তাব নিরাপদ, তবে প্রতিবেশী দেশগুলো এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলছেন, এই বসন্ত বা গ্রীষ্মের মধ্যে কোনও এক সময় এই নিষ্কাশন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। আমরা এখন আইএইএ’র বিস্তারিত একটি প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি।  

বেশিরভাগ রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপের জন্য এই পাানি ফিল্টার করা হয়েছে, তবে ট্রিটিয়ামের স্তরটি জাতীয় মানদণ্ডের ওপরে রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ওই কেন্দ্রের অপারেটর টেপকো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রিটিয়াম পানি থেকে অপসারণ করা খুবই কঠিন এবং এটি শুধুমাত্র বড় মাত্রায় মানুষের জন্য ক্ষতিকর। 

২০২১ সালে জাপান সরকার অনুমোদিত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে প্রতিবেশী দেশ এবং স্থানীয় জেলেরা। 

দ্য প্যাসিফিক আয়ারল্যান্ডস ফোরাম প্রস্তাবে স্বচ্ছতার অভাবের জন্য জাপানের সমালোচনা করেছে। এই ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল হেনরি পুনা অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালে শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল জাপান তা ভঙ্গ করছে।  

২০১১ সালে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এরপর বিশাল সুনামি আঘাত হানে দেশটিতে। 

সুনামির ঢেউ ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আঘাত হানে, তিনটি চুল্লি প্লাবিত করে এবং একটি বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭