ইনসাইড টক

‘বাংলাদেশের পজিটিভ ডেভেলপমেন্টের একটা ভবিষ্যৎ আছে’


প্রকাশ: 14/01/2023


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পজিটিভ ডেভেলপমেন্টের একটা ভবিষ্যৎ আছে এবং আসলে এটা হচ্ছে কি না তা নির্ভর করবে জনগণের ওপর।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস জানুয়ারি ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জিডিপি অর্জনে চীন-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।

বিশ্ববাংকের এমন প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য? এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক এ ধরনের প্রতিবেদন রাজনৈতিক চিন্তা থেকে প্রকাশ করেছে এটা চিন্তা করা ঠিক হবে না। কারণ যারা বিশ্বব্যাংকে কাজ করেন, তাদের যে সব ক্যাটাগরি রয়েছে, তা দেখে তারা কাজ করেন। আবার যখন লোন দেয়, তার মধ্যে রাজনীতি থাকতেই পারে। কিন্তু এই ধরনের, কার কত গ্রোথ হচেছ এটা নির্ভর করে আমার গবেষণা কতখানি স্বচ্ছ অথবা গবেষণাগুলো কি দেখছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এটা আমার মনে হয় না, এটা রাজনীতির সাথে সরসরি কোনো সম্পর্ক আছে। যেটা বলা যায়, বিশ্বব্যাংক যেহেতু বলছে যে জিডিপি গ্রোথ হবে, শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, আরও যারা আছে এগুলো নিয়ে কাজ করে, তারা সবাই মোটামুটি বলছে, বাংলাদেশের পজিটিভ ডেভেলপমেন্টের একটা ভবিষ্যৎ আছে এবং সেটা নির্ভর করবে জনগণের ওপর, আসলে এটা হচ্ছে কি না।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু বিশ্লেষণের সাথে ওই লোনের ব্যাপারটা সরাসরি এক করা ঠিক হবে না। কারণ লোনের মধ্যে থাকতে পারে, কে কাজ করবে বা করবে না। যে লোনটা দিবে সেখানে ঠিকাদাররা কারা হবে? ঠিকাদার আমেরিকার হবে না কানাডার হবে, ওইগুলো উঠে আসে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের সাথে সরাসরি লোনের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ-জ্বালানির সংকট এবং বিএনপি আন্দোলনে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির যে ব্যাপারটি যোগ করেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য? -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে বিরোধিতা করা এক জিনিস এবং পরিকল্পনা দেয়াটা আরেক জিনিস। এমনিতে চাইলে যে কোন জিনিসেরই বিরোধিতা করা যায়। কিন্তু বিরোধিতা করে কিছু লোকের সমর্থন হয়তো পাওয়া যেতেও পারে। কিন্তু প্রশ্ন থাকবে যে, কে কিভাবে এর সমাধান করবে।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জনগণ আমার মনে হয় না, এই ব্যাপারটি দেখে। জনগণ বিদ্যুতের বাড়তি দাম তখনই মেনে নিতে পারবে যখন, তার আয়ের তুলনায় এই মূল্য বৃদ্ধি সহনীয় হবে। কিন্তু বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি এমন আকারে হচ্ছে না যেখানে জনগণের বড় আকারে ক্ষতি হবে। বড় আকারে যখন ক্ষতি হবে তখন বিএনপি বলুক কিংবা না বলুক জনগণ এমনিতেই সেটার বিরোধিতা করবে। কোন দল বিরোধিতা করছে বলে করবে না। 

দলের কাছ থেকে যেটা আশা করা যায় এবং যেটা উচিত সেটা হল, সে কি পরিকল্পনায়, বিশ্বে যেখানে বিদ্যুতের সংকট, সেখানে তার কি কোন ম্যাজিক ফর্র্মুলা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সেই ফর্মুলাটি কি? সেটি যদি না বলতে পারে তাহলে আমার মনে হয় না শুধু এসব রাজনীতিক কথা জনগণ খুব একটা আমলে নিবে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭