ইনসাইড বাংলাদেশ

লাইমলাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশ: 18/01/2023


Thumbnail

ক্ষমতাসীন সরকারের গঠিত ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ মনে করা হতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে। এর অন্যতম কারণ হলো ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অভিযোগ রয়েছে কতগুলো ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর এব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ ছিলো না বলেই অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ তৎপরতা না থাকার কারণে কোনো একটি গোষ্ঠী লবিস্ট নিয়োগ করে র‌্যাবের ওপর এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হতো। এছাড়া বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য নানাভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। যেমন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ এ ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি সারা বছর জুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের শুরুতে তিনি পাশার দান উল্টে দিলেন এবং এখন সফল মন্ত্রীদের তালিকা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর নামই প্রথমে আসে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফরে করে গেছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তার এই সফরের আগে নানা জল্পনা-কল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে গত বছর ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে মার্কিন দূতাবাস পিটার ডি হাস এর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের আগে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনার গুঞ্জন উঠেছে। গুঞ্জন উঠেছিল ঢাকার ওপর আবার নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে তেমন কোনো কিছুই হয়নি। বরং তিনি ঢাকা সফরে এসে বলেছেন, আমি বাংলাদেশে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে। 

লু আরও বলেন, র‌্যাব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্বীকৃতি দিয়েছে, আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। খুব চমৎকার কাজ হয়েছে। তারা ল’ এনফোর্সমেন্ট এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে। অর্থাৎ ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে নানা রকম গুঞ্জনের কথা শোনা গেলেও সেগুলোর কোনটাই হয়নি। আর এর পেছনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকার জন্যই বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা পাল্টেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর পেছনে কৃতিত্ব রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭