তালায় বিয়ের দাবিতে ইউপি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল বাদশা কর্তৃক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী(১৪ কে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে তালা থানায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, তালার মাগুরা ডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মইনুল ইসলামের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল বাদশা(২১) ফলেয়া চাঁদকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন(ছদ্মনাম) এর সহিত অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে রাসেল বাদশাকে আসিমী করে তালা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। পরে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯ ধারা। যার তালা থানা মামলা নাম্বার ১৩ তারিখ ২১-০১-২০২৩ ইং তারিখ মামলা রুজুভুক্ত করা হয়।
তথ্য মতে, শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলার মাগুরডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মইনুল ইসলামের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রেমিক রাসেল বাদশা বাড়ীতে ওই তরুনী বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। সেই সময় ছেলের অভিভাবকরা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠানো চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়।
এসময় ভুক্তভোগী সুরাইয়া ইয়াসমিন(ছদ্মনাম) জানান, প্রায় এক বছর আগে থেকেই রাসেল বাদশার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমজ সম্পর্কের সূত্র ধরে আমার সাথে শারীরিক ভাবে মেলামেশায় লিপ্ত হয়্ রাসেল বাদশা। সে সময় রাসেল বাদশা আমাকে বিবাহ করবে বলে আশ^স্ত করে। বর্তমানে তার চার মাসের সন্তান আমার গর্ভে। তাই আমি তার বাড়িতে এসে উঠি। পরে পুলিশ আসলে বিষয়টি তাদের খুলে বলি। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় ঐ রাসেল বাদশার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার আসামী রাসেল বাদশাকে আটকের চেষ্টা চলছে।