ইনসাইড বাংলাদেশ

নৌকাকে শক্ত হাতে আঁকড়ে রেখেছেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন


প্রকাশ: 23/01/2023


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত যশোর-১ (শার্শা) আসনটি শক্ত হাতে বৈঠা ধরে নৌকাকে মজবুত করে রেখেছেন দেশের শীর্ষ আকিজ শিল্প গোষ্ঠীর মালিক শেখ আকিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে আফিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধর বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ আফিল উদ্দিন। শেখ আফিল উদ্দিন নৌকার টিকিট পেয়ে পরপর ৩ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে যশোরের ৬টি আসনের মধ্যে তিনিই সর্বসাধারনের কাছে সবচয়ে জনপ্রিয় এমপি।

যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে যশোর-১ আসন গঠিত। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল অবস্থিত এ গুরুত্বপূর্ণ আসনটি। সব দলের জন্য এই আসনটি মর্যাদার। বিগত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৬ বার, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ২ বার করে এবং জামায়াত ইসলাম একবার বিজয়ী হয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর শেখ আফিল উদ্দিন নির্বাচিত হয়ে আজও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। 

উপজেলা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, শার্শার তৃণমূলের রাজনীতিতে শেখ আফিল উদ্দিনের অবস্থান অত্যন্ত সুসংসহ। ২০০১ সালে রাজনীতিতে এসে শার্শা আওয়ামী লীগের ভাঙা সংসার নতুন করে সাজিয়ে দলকে মজবুত করে গড়ে তোলেন। এ কারণে বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়। ২০০০ সালে বন্যার সময় তিনি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেন।  ২০০৬ সালে ১৫ই আগষ্ট নাভারন কলেজের সামনে জামায়াত বিএনপি কতৃক হামলার শিকার হন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রিয় নেতা শেখ আফিল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। সেসময় প্রায় ১০০ জনকে মিথ্যা মামলা দেয় জামায়াত বিএনপিরা। ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ফেরার পথে সাতক্ষীরায় জামায়াত বিএনপি কতৃক হামলার শিকার হন, এসময় নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কে শেখ আফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে এই উপজেলা নেতা কর্মীদের নিয়ে পথসভা করা হয়।

শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, শার্শার মাটিতে শেখ আফিল উদ্দিনের বিকল্প নেই। আগামী সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনে বিকল্প নেতৃত্ব আজও গড়ে ওঠেনি। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে এমপি শেখ আফিল উদ্দিন নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাতা-কলম, শিক্ষার্থীদের সাইকেল, নারীদের প্রশিক্ষন দিয়ে সেলাই মেশিন দিয়েছেন্। শেখ আফিল উদ্দিন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার নির্বাচনী আসন শার্শা উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় ১ লক্ষের উপরে নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থানের জন্য নির্মান করেছেন আফিল জুট মিল, আফিল মৎস প্রকল্প, মুরগীর ডিমের ফার্ম সহ বেশ কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রিজ। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পুরুষ ও মহিলাদের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। এজন্যই তিনি এই আসনে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি মাঠ পর্যায়ের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, শেখ আফিল উদ্দিন জুট মিলেই সাধারন শ্রমিকদের সুখে দুখে পাশে থাকার জন্য বাড়ি নির্মান করে তার পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের সাথেই বসবাস করছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি একক হাতে আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত করে রেখেছেন। সারা বছর ধরেই তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে আছেন। দুর্দিনের পরিক্ষীত শার্শার অভিভাবক হিসেবে সব দলের কাছে তিনি খুবই প্রিয়ভাজন ব্যক্তি। ফলে এমন নেতাকে মনোনয়ন না দেয়ার কোনো কারণ নেই।

বিএনপি নির্বাচনে গেলে ধানের শীর্ষ প্রতীকের জন্য বিএনপির প্রার্থীরা আশায় বুক বেঁধেছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির, কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুজ্জামান লিটনের নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির বহিষ্কৃত হাওয়া ভবনের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি ও আছেন। তবে তিনি ১৯৯৬ সালে স্বল্প সময়ের জন্য যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী শার্শা উপজেলা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বলছেন সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু দলের দুর্দিনে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির ও নুরুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫/২০ টি করে মামলা এদের বাইরে দলের মনোনয়ন দেওয়ার কারণ নেই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭