ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় সিলেটের


প্রকাশ: 24/01/2023


Thumbnail

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে পড়তে হলো মোহাম্মাদ ওয়াসিমের গোলার মুখে। এক ওভারের ঝড়ে বিদায় নেয় ৩ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে এনে দিলেন স্বস্তি। আবার সিলেটের দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের শুরুর ঝড়ে দারুণ সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। পরে সাকিব-জাদরানদের ব্যাটে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো বরিশাল। মাঝে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদেরকে চেপে ধরলো সিলেট। আবার সেখান থেকে আবার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললো করিম জানাত-ইফতিখার আহমেদরা। জিততে হলে শেষ ওভার থেকে ১৫ রান নিতে হবে বর্তমান রানার্সআপকে। 

রেজাউর রহমান রাজার করা সে ওভারের শুরুটা হলো ওয়াইড দিয়ে। প্রথম বলে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কলিন অ্যাকারম্যানের হাতে ধরা পড়লেন ইফতিখার। পরের বলে রানআউটে কাঁটা পড়েন মিরাজ। ৫ম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মোহাম্মাদ ওয়াসিম। তাতে বরিশালের দরকার হয় ৭ রানের। পেন্ডলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত এমন রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ফরচুন বরিশালকে ২ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার্সদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মোহাম্মাদ ওয়াসিম। প্রথম বলে জাকির হাসানের স্টাম্প ভেঙে দেন ওয়াসিম। পঞ্চম বলে হাতের ইনজুরি কাঁটিয়ে একাদশে ফেরা তৌহিদ হৃদয় এবং শেষ বলে মুশফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট।

বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টম মুরসকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৯৬ রানে বরিশালকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বল ডাউন দ্যা উইকেট খেলতে এসে ৩০ বল থেকে ৪০ রান করে স্টাম্পিংয়ে বিদায় নেন ইংলিশ ক্রিকেটার টম মুরস।

পরে শান্তর সাথে থিসারা পেরেরার ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগোয় সিলেট। মাত্র ৩৪ বল থেকে ৬৮ রানের জুটিতে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শান্ত তুলে নেন অর্ধশতক। পেরেরা ২১ রান করে আউট হলেও অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খেলেন ৬৬ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শান্ত'র ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

জবাব দিতে নেমে বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সাইফ হাসান। ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৪২ রানের। তবে সিলেটের অভিষিক্ত বোলার তানজিম সাকিবের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৯ বলে ৪ চয়ে করেন ৩১ রান করেন সাইফ। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ হতেই সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তাকে অনুসরণ করেন আনামুল হক। তবে তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান দলকে টানতে থাকেন।

তাদের এই প্রতিরোধ ভাযে ইনিংসের ১৪তম ওভারে। দুই বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নেন রাজা। দুজনকেই বোল্ড করেন তরুণ এই পেসার। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বরিশাল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতিও কমিয়ে আনেন সিলেটের বোলাররা। তবে মাশরাফির করা ১৭তম ওভার থেকে ২১ রান নিয়ে বরিশালকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন করিম জানাত। আবার পরের ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে জানাতের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মাদ আমির। 

তবে শেষ বলের সমীকরণে ২ রানে হারতে হয় সাকিব আল হাসানের দলকে। ১৭১ রানে থামে ফরচুন বরিশালের ইনিংস। ৩টি উইকেট নেন রাজা। আর ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আমির ও তানজিম সাকিব। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। 

এ জয়ে ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে বরিশালের সাথে ব্যবধান বাড়ালো সিলেট। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়েই থাকলো বরিশাল।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭