ইনসাইড আর্টিকেল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘বাকশাল’ ব্যবস্থার প্রবর্তণ


প্রকাশ: 25/01/2023


Thumbnail

আজ ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার সেই ২৫ জানুয়ারি- একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই তারিখে এদেশের রাজনীতিতে রচিত হয়েছিল নতুন ইতিহাস, সূচনা হয়েছিল রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়। ওইদিন সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পেশকৃত সংবিধানের  চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস হয়। এর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন তথা ‘বাকশাল’ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগ) গঠনের পথ উন্মুক্ত হয়। 

একইসঙ্গে এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। অত্যন্ত অশ্চর্যজনক বিষয় যে, সে সময়ে ভেতরে ভেতরে সরকার বিরোধী চক্রের অনেকেই সরকার হঠানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হত্যা, খুন, গুমসহ নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার সেই দিনে মাত্র ১১ মিনিটে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস হয়েছিল। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলটি জাতীয় সংসদে ২৯৪ ভোটে পাশ হয়। এই বিলের বিরোধীতা করেন মাত্র ৩ জন বিরোধী, ১ জন স্বতন্ত্র সদস্য ‘ওয়াক আউট’ করেন। ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার বিরোধীতা অনেকেই মনে মনে করলেও জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামনে কেউ গলার সর উঁচু করতে সাহস করেননি, এমন কি প্রকাশ্যে খুব কম সংখ্যক সংসদ সদস্যই বিরোধীতা করেছিলেন।  

‘বাকশাল’ ব্যবস্থা প্রনয়ণ এবং জাতীয় সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রসহ তাদের অনুসারীরা ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করলেও- এর একটি সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। যে কারণটি ছিল দেশ গঠনের দ্বিতীয় বিল্পব এবং হানাহানি, লোভ-লালসা থেকে অবসান। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে নিবেদিত। ঠিক তখনও সক্রিয় ছিলো এই দেশবিরোধী চক্র। নিজেদের দেনা-পাওনা-চাহিদা পূরণ না হওয়ায় ভেতরে ভেতরে ফুঁসে ওঠতে থাকে এই চক্রটি। ওই সময়ে চক্রটি সরকার হঠানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে। বর্তমান বাংলাদেশেও এই চক্রটি এখনও বিদ্যমান। 

গণতান্ত্রিক সংসদীয় রাজনীতিক দলের সুযোগ নিয়ে সে সময় অনেকেই সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরা গোপনে চক্রান্ত করে সরকার হঠানোর কৌশলে নিমত্ত হয়। স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন এবং বামপন্থী দলের কর্মীরা সরকার দলীয় অনেক নেতাকে হত্যা করে। তারা তখন সর্বত্র খুন, হানাহানি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। রাজনৈতিক এমন অস্থিরতা বিরাজ দেখে- তা নিরসন করতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বাকশাল’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এছাড়া সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আনার পিছনে রাজনৈতিক সমস্যা ছাড়াও অর্থনৈতিক সংকট ছিল অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে মহাবিপর্যয় দেখা দেয়। পরপর কয়েক বছর বন্যা ও খরার কবলে পড়ে কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর ফলে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তার উপর বিশ্বব্যাপি মুদ্রাস্ফীতির কারণে অত্যাধিক মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিদেশ থেকে আমাদানি করতে হয় এবং সে সময় রফতানিতেও ছিল বেহাল দশা। রফতানিকৃত পণ্যের সঠিক মূল্য না পাওয়া, কালোবাজারী ও চোরাচালান বেড়ে যাওয়া, দুর্নীতি ইত্যাদির ফলে তখন দেশে একটি মারাত্মক অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়। বিদেশ থেকে যেসব সাহায্য সহযোগিতা এসেছিল, সেগুলোরও সঠিক বন্টন হয়নি লুটেরা নেতাদের কারণে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দেশব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতেও সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আনা হয়।

সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিলেও সবাই যে সে নির্দেশ পালন করেছিল, তা বলা যায় না। তার ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া প্রচুর অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে আল-বদর, আল-শামস, রাজাকার, শান্তিকমিটি ও চীনপন্থী বিভ্রান্ত বিপ্লবীদের নানা দল-উপদল রাষ্ট্রে নানাবিধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি শুরু করেছিল। দেশের বেশ কয়েকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা নামে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে এরা বিরোধিতা করেছিল; বিশেষ করে পিকিংপন্থী বিভ্রান্ত বামধারার সশস্ত্র বিভিন্ন দল-উপদল, যারা স্বাধীন দেশে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র প্রদর্শন, লুটপাট, থানা ও ফাঁড়িতে হামলা ইত্যাদি অপরাধের সঙ্গে গুপ্তহত্যাও শুরু করেছিল। নিঃসন্দেহে এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তৃত্বের প্রতি ছিল একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১৯৭৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুট হয়েছিল প্রায় ১৯টি থানা ও ফাঁড়ি। স্বাধীনতার প্রথম বছরে ৩৩৭টি ছিনতাই, প্রথম ১৬ মাসে ২৩০৫টি গুপ্তহত্যা এবং প্রথম দুই বছরের মধ্যেই ৪৯০৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল । এসব গুপ্তহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর সেটা করেছিল বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার দালালরা।

সেই সময় বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। মার্কসবাদী এবং মস্কোপন্থীরা দেশের অভ্যন্তরে গোপনে উগ্র কার্যকলাপে ব্যস্ত ছিল। এরা সমগ্র দেশে গুপ্ত হত্যা, লুণ্ঠন, রাহাজানি করতে থাকে। ফলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ১৯৭৪ সালে এক অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। ফলে সব দিক বিবেচনা করেই দেশ পুনর্গঠনে বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।   

এ সময় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি  ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর নিকট তার প্রেরিত এক বাণীতে ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

‘বাকশাল’ ব্যবস্থা ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যান্য রাজনৈতিক দল ভেঙে দিয়ে 'বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ' (বাকশাল)- নামে জাতীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই দলের চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজে এবং সম্পাদক হন এম মনসুর আলী। বাকশাল গঠনের মাধ্যমে এটি বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় দল হিসেবে পরিগণিত হয়। আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ পদক্ষেপকে তিনি তার ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’র সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বাকশালের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন দেশের সবক’টি সংবাদপত্রও বিলুপ্ত করেছিলেন। সে সময় শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ অবজারভার এবং বাংলাদেশ টাইমস- এ চারটি পত্রিকা সাময়িকভাবে প্রকাশনার সুযোগ দেয়া হয়।

এর আগে ওই বছরের ৭ জুন বাকশালের গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি, পাঁচটি ফ্রন্ট এবং এর কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হিসেবে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলীর নাম ঘোষণা করেন। জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মণি ও আবদুর রাজ্জাককে দলের সেক্রেটারি করা হয়। বাকশাল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে যে পাঁচটি ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো হলো- জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগ। এর সেক্রেটারিরা হলেন যথাক্রমে ফণীভূষণ মজুমদার, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, বেগম সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ এবং শেখ শহীদুল ইসলাম। ১৫ জনকে নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ১১৫ জন সদস্য রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

বাকশাল-এর কার্যনির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন যারা: 

কার্যনির্বাহী কমিটি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- চেয়ারম্যান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ, আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, আবদুল মালেক উকিল, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, শ্রী মনোরঞ্জন ধর, ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, শেখ আবদুল আজিজ, মহীউদ্দিন আহমদ, গাজী গোলাম মোস্তফা, জিল্লুর রহমান- সেক্রেটারি, শেখ ফজলুল হক মনি-সেক্রেটারি  এবং আবদুর রাজ্জাক-সেক্রেটারি হিসেবে কমিটিতে ছিলেন।

কেন্দ্রীয় কমিটি

কেন্দ্রীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- রাষ্ট্রপতি এবং চেয়ারম্যান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম- উপ-রাষ্ট্রপতি, এম মনসুর আলী- প্রধানমন্ত্রী এবং সেক্রেটারী জেনারেল, আবদুল মালেক উকিল-  স্পীকার, খন্দকার মোশতাক আহমদ- বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্যমন্ত্রী, আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান- শিল্পমন্ত্রী, মুহম্মদ উল্লাহ- ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী, আবদুস সামাদ আজাদ- কৃষিমন্ত্রী, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী- শ্রম, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী, শ্রী ফণী মজুমদার- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, ড. কামাল হোসেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন- গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী, আব্দুল মান্নান- স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী, আবদুর রব সেরনিয়াবত- বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রী, শ্রী মনোরঞ্জন ধর- আইন, সংসদ বিষয়াবলী ও বিচারমন্ত্রী, আব্দুল মমিন- খাদ্য, বেসামরিক সরবরাহ এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী, আসাদুজ্জামান খান- পাটমন্ত্রী, এম কোরবান আলী- তথ্য বেতারমন্ত্রী, ড. আজিজুর রহমান মল্লিক- অর্থমন্ত্রী, ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী- শিক্ষামন্ত্রী, তোফায়েল আহমেদ- রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন- চীফ হুইপ, আবদুল মমিন তালুকদার- সমবায় প্রতিমন্ত্রী, দেওয়ান ফরিদ গাজী- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী- প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাহের উদ্দিন ঠাকুর- তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী, মোসলেম উদ্দিন খান- পাট প্রতিমন্ত্রী, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মঞ্জুর- যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, কে এম ওবায়দুর রহমান- ডাক, তার ও টেলিফোন প্রতিমন্ত্রী, ডা. ক্ষিতীশচন্দ্র মণ্ডল- ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী, রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ- বন, মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী, এম বায়তুল্লাহ- ডেপুটি স্পীকার, রুহুল কুদ্দুস- রাষ্ট্রপতির প্রধান সচিব, জিল্লুর রহমান এমপি- সেক্রেটারী, মহিউদ্দিন আহমদ এমপি, শেখ ফজলুল হক মণি- সেক্রেটারী, আব্দুর রাজ্জাক এমপি- সেক্রেটারী, আনোয়ার চৌধুরী, বেগম সাজেদা চৌধুরী এমপি, বেগম তসলিমা আবেদ এমপি, জনাব আবদুর রহিম- দিনাজপুর, আব্দুল আওয়াল এমপি- রংপুর, লুৎফর রহমান এমপি- রংপুর, এ কে মুজিবুর রহমান এমপি- বগুড়া, ড. মফিজ চৌধুরী এমপি- বগুড়া, ডা. আলাউদ্দিন এমপি- রাজশাহী, ডা. আসহাবুল হক এমপি- কুষ্টিয়া, জনাব রওশন আলী এমপি- যশোর, শেখ আবদুল আজিজ এমপি- খুলনা, সালাহ উদ্দিন ইউসুফ এমপি- খুলনা, মি. মাইকেল সুশীল অধিকারী- খুলনা, কাজী আবুল কাশেম এমপি- পটুয়াখালী, মোল্লা জালাল উদ্দিন আহমদ এমপি- ফরিদপুর, শামসুদ্দিন মোল্লা এমপি- ফরিদপুর, শ্রী গৌরচন্দ্র বালা- ফরিদপুর, গাজী গোলাম মোস্তফা এমপি- ঢাকা, শামসুল হক এমপি- ঢাকা, সামসুদ্দোহা এমপি- ঢাকা, রফিক উদ্দিন ভূইয়া এমপি- ময়মনসিংহ, সৈয়দ আহমদ- ময়মনসিংহ, শামসুর রহমান খান এমপি- টাঙ্গাইল, নুরুল হক এমপি- নোয়াখালী, কাজী জহিরুল কাইউম এমপি- কুমিল্লা, ক্যাপ্টেন সুজাত আলী এমপি- কুমিল্লা, এম আর সিদ্দিকী এমপি- চট্টগ্রাম, এম এ ওয়াহাব এমপি- চট্টগ্রাম, শ্রী চিত্তরঞ্জন সূতার এমপি, সৈয়দা রাজিয়া বানু এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস, শ্রী মং প্রু সাইন- মানিকছড়ির রাজা, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, আতাউর রহমান, পীর হাবিবুর রহমান, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, মোহাম্মদ ফরহাদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ, তৌফিক ইমাম- সচিব- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নুরুল ইসলাম- সচিব, ফয়েজ উদ্দিন আহমদ- সচিব, মাহবুবুর রহমান- সচিব- সংস্থাপন বিভাগ, আবদুল খালেক- উপরাষ্ট্রপতির সচিব, মুজিবুল হক- সচিব- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, আব্দুর রহিম- রাষ্ট্রপতির সচিব, মইনুল ইসলাম- সচিব- পূর্ত গৃহনির্মাণ ও শহর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, সৈয়দুজ্জামান- সচিব- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আনিসুজ্জামান- সচিব, ড. এ সাত্তার- রাষ্ট্রপতির সচিব, এম এ সামাদ- সচিব- যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আবু তাহের- সচিব- ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়, আল হোসায়নী- সচিব- বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রণালয়, ডা. তাজুল হোসেন- সচিব- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মতিউর রহমান- চেয়ারম্যান- টিসিবি, মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান, এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খোন্দকার- বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান, কমোডর এম এই খান- বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান, মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান- মাহাপরিচালক বিডিআর, এ কে নাজির উদ্দিন আহমদ- গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংক, ড. আবদুল মতিন চৌধুরী- উপাচার্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মাযহারুল ইসলাম- উপাচার্য- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মুহম্মদ এনামুল হক- উপাচার্য- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এটিএম সৈয়দ হোসেন- অতিরিক্ত সচিব, নুরুল ইসলাম- আইজিপি- পুলিশ, ড. নীলিমা ইব্রাহীম, ড. নুরুল ইসলাম- পরিচালক- পিজি হাসপাতাল, ওবায়দুল হক- সম্পাদক- বাংলাদেশ অবজার্ভার, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু- সম্পাদক- ইত্তেফাক, মিজানুর রহমান- প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক- বিপিআই, আনোয়ারুল ইসলাম- যুগ্ম সচিব- রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, ব্রিগেডিয়ার এ এন এম নুরুজ্জামান- পরিচালক- জাতীয় রক্ষী বাহিনী, কামারুজ্জামান- সভাপতি- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, ডা. মাজহার আলী কাদরী- বাংলাদেশ চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ছিলেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭