ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীনতা বিরোধীদের পদাঙ্ক অনুসরণে দেশবিরোধী চক্র


প্রকাশ: 25/01/2023


Thumbnail

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নব্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু সরকার যখন অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময়ে বিরোধী চক্র সরকার হঠানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সমসাময়িক সময়েও শেখ হাসিনা সরকার যখন দেশের উন্নয়নে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যস্ত। ঠিক তখনও সেই একই চক্র একই ধরনের অপপ্রচার, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপিসহ সরকার বিরোধী সমমনা দলগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এ ধরনের অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সূত্র বলছে, তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটির মতোই একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র সমসাময়িক সময়ে সেই একই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। ১৯৭৫ সালের দিকে ওই ষড়যন্ত্রকারী চক্রটি সরকার হঠানোর উদ্দেশ্যে মরিয়া হয়ে ওঠেছিল। বর্তমান সময়েও সেই একই চক্র সরকারকে বিতর্কিত করতে ওঠেপরে লেগেছে। সেই সময়েও দলের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকদের অবস্থান ছিল, সমসাময়িক সময়ে একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপ একই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ হতে চলেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমনই একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলার ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকের ইতিহাস। এরা পদে পদে আছে। এরা আমাদের মধ্যেই আছে। বিশ্বাসঘাতক আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে, আমরা জানি না। বিশ্বাসঘাতকদের জন্য এদেশে ওয়ান ইলেভেন হয়েছে। এদেশে ৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা না করলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দুঃসাহস কারো হত না। আজকে আমরা নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সূত্র বলছে, একটা স্বাধীন, নবীন রাষ্ট্রের পুনর্গঠন, উন্নয়ন দরকার। সেইজন্য সকল দল, মতের লোকদের নিয়ে একটি প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মূলত দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বা ‘বাকশাল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এটা একটি নতুন ধারণা। এই ধারণার বিরুদ্ধে তখনও অপপ্রচার হয়েছে, এখনও একই ধরনের অপপ্রচার, বিশ্বাঘাতকতা করছে কতিপয় লোভী স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। বাঙালির ভেতরে সব সময়ই লক্ষ্য করা গেছে, একটা গোষ্ঠী থাকে, যারা সব সময়ই ষড়যন্ত্র, অপপপ্রচার চালায় এবং এটা আমরা ঐতিহাসিকভাবেই দেখছি। বর্তমান সময়েও দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক একই রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে এসব দেশবিরোধী, দেশের উন্নয়ন বিরোধী বিএনপি এবং এদের দোষররা।   

সূত্রমতে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন সড়কে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি সমর্থিত ১২ দলীয় জোট। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এই জোট। সেইসঙ্গে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বাকশাল গঠন করে একদলীয় স্বৈরশাসন চালু করা হয়। এটি ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম একটি কালাকানুন চাপিয়ে দেওয়ার ভয়াবহ দিন বলেও উল্লেখ করেন তারা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন দেশবিরোধী চক্রান্ত থেকে দেশকে বাঁচাতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল ব্যবস্থার প্রনয়ণ করেছিলেন। তখনও এই বাকশাল নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। সেই অপপ্রচার এখনও চলমান রয়েছে। সে সময়ে এই একই পন্থায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে তারা বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল এবং এই সময়েও একই পন্থা অবলম্বন করছে এই চক্রটি। বাকশাল ছিল দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি, অথচ সেই কর্মসূচির বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালিয়ে দ্বিতীয় বিপ্লবের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। প্রকৃতপক্ষে এই চক্রটি সে সময়ে ফলপ্রসু হলেও সমসাময়িক সময়ে কার্যকর হতে পারছে না। তবে এদের রুখে দেওয়া দরকার। তাই এখন সময় এসেছে এই ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেবার। সরকার যেভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে, তাতে করে জনগনই তাদের রুখে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭