প্রকাশ: 26/01/2023
কুরুচিপূর্ণ
মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ
করতে বাধ্য হয়েছিলেন জামালপুর-৪ আসনের সংসদ
সদস্য ডা. মো. মুরাদ
হাসান। পরে জেলা আওয়ামী
লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক
সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১
সালের ৭ ডিসেম্বর তাকে
অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই আলোচিত-সমালেচিত
নেতাকে সাধারণ ক্ষমা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ
থেকে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে পুরষ্কৃত উল্লেখযোগ্য
নেতাদের মধ্যে তিনি একজন।
এদিকে
ক্ষমা পাওয়ার পর পরই বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) ২৩
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় দেখা যায়
তাকে। এ সময় সাংবাদিকদের
প্রশ্ন ছিল, আওয়ামী লীগের
অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি
ক্ষমা পেয়েছেন কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে
মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি আবেদন করেছিলাম।
আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে
জানতে পেরেছি কিন্তু এখনো চিঠি আনতে
যাইনি। মেয়র জাহাঙ্গীর আরও
গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই
তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।’
এর আগে গত ১
জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ব্যক্তিগতভাবে
গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে
ক্ষমার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের
সেপ্টেম্বরে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের
একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক
শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে
কটূক্তি করতে শোনা যায়
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই
বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে
দল থেকে বহিষ্কার করা
হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র
পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত
করা হয়।
আওয়ামী
লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ডা. মুরাদ হাসানকে
সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে। এর
ফলে ডা. মুরাদ ফের
আওয়ামী লগের রাজনীতিতে সক্রিয়
হতে পারবেন। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের
আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী
কর্মকাণ্ডের কারণে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়। সে মোতাবেক তাকে
দলীয় বিধি ভঙ্গের অভিযোগ
থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাধারণ ক্ষমা
করা হয়েছে।
সূত্রমতে,
২০১৯ সালে সরকার গঠনের
সময় ডা. মুরাদ হাসানকে
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫
মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯
মে তার দফতর পরিবর্তন
করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা
হয়। পরে তার আপত্তিকর
মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের
কারণে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে
পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। গত ২২ ডিসেম্বর
মুরাদ হাসান তাকে ক্ষমা করে
দিতে আবেদন জানান।
সাধারণ
ক্ষমার আবেদনে মুরাদ বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের
সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর
রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক
হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭
ডিসেম্বর ওই পদ থেকে
আমাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। আমি
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ়প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে- ভবিষ্যতে এমন
কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার
ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। অতএব বিনীত
নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের
সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।’
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭