পাওয়ার প্লে'তে রংপুরের বোলারদের দাপট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের ম্যাচে মুখুমোখি হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর রাইডার্স। বিপিএলের চলতি আসরে দারুণ ছন্দে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৭ ম্যাচে ৬ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও সবার উপরে রয়েছে মাশরাফিরা। এ ম্যাচে জিতলে বিপিএলের প্লে অফ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে দলটির।

অন্যদিকে, রংপুর রাইডার্সের জন্য টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ৬ ম্যাচে সমান ৩টি করে জয় ও হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে রয়েছে রংপুর। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে বাকি ম্যাচগুলোতে জয় ভিন্ন বিকল্প নেই রংপুরের সামনে। শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ে চাঙ্গা দলটির ক্রিকেটাররা। এ ম্যাচেও প্রতিন্দন্দ্বীতা করতে চায় সিলেটের বিপক্ষে।

ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টম মুরসের উইকেট হারায় সিলেট। পরের ওভারে মাহেদী হাসানের বলে দারুণ এক ছয় হাঁকিয়ে আক্রমণাত্নক ক্রিকেট খেলার আভাস দেয় নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পরের বল আবারো বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে। বাউন্ডারি রোপ ঘেঁষে দারুণ এক ক্যাচ নেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

দুই নতুন ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানের উপর দলকে এগিয়ে নেয়ার দ্বায়িত্ব বর্তায়। তবে চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তৌহিদ হৃদয়। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেন নি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

পঞ্চম ওভারে জাকির হাসানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মাহেদী। টপ অর্ডারের এমন বেহাল দশায় ধুঁকতে থাকে টেবিল টপাররা। পাওয়ার প্লে'র শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায়  ৫ উইকেটে ১৬ রান।

দুই দলের একাদশ:

সিলেট স্ট্রাইকার্স:

নাজমুল হোসেন শান্ত, টম মুরস, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইমাদ ওয়াসিম, তানজিম সাকিব, থিসারা পেরেরা, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মাদ আমির, রেজাউর রহমান।

রংপুর রাইডার্স:

নাঈম শেখ, রনি তালুকদার, শোয়েব মালিক, মাহেদী হাসান, শামীম হোসেন, রবিউল হক, মোহাম্মাদ নাওয়াজ, নুরুল হাসান, হারিস রউফ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, হাসান মাহমুদ।