ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাসান-ওমরজাইয়ের বোলিংয়ে একশোর নিচে আটকে গেলো সিলেট


প্রকাশ: 27/01/2023


Thumbnail

ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। যে দলটি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সফল, সেই দলটিকেই নাকানি-চুবানি খাওয়ালেন রংপুরের বোলাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগান ক্রিকেটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শুরুর স্পেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সিলেটের ব্যাটিং অর্ডার। বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর গড়ে রংপুর রাইডার্সকে জয়ের জন্য ৯৩ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টম মুরসের উইকেট হারায় সিলেট। পরের ওভারে মাহেদী হাসানের বলে দারুণ এক ছয় হাঁকিয়ে আক্রমণাত্নক ক্রিকেট খেলার আভাস দেয় নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে পরের বল আবারো বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন শোয়েব মালিকের হাতে। বাউন্ডারি রোপ ঘেঁষে দারুণ এক ক্যাচ নেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

দুই নতুন ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানের উপর দলকে এগিয়ে নেয়ার দ্বায়িত্ব বর্তায়। তবে চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তৌহিদ হৃদয়। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেন নি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

পঞ্চম ওভারে জাকির হাসানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মাহেদী। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। টপ অর্ডারের এমন বেহাল দশায় ধুঁকতে থাকে টেবিল টপাররা। পাওয়ার প্লে'র শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ৫ উইকেটে ১৬ রান।

দলের দুই বিদেশী ক্রিকেটারও দলের বিপদের দিনে হাল ধরতে পারেন নি। ১৭ রানে রউফের বলে থিসারা পেরেরা এবং ১৮ রানে ইমাদ ওয়াসিমকে সাগঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ। ১৮ রানে ৭ উ্টিকেটের পতনে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের স্কোরের শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছিলো সিলেট।

তবে অষ্টম উইকেটে তানজিম সাকিব এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঢাল হয়ে দাড়ান রংপুরের বোলারদের সামনে। দুজনে ধীরে ধীরে দলকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ৪৫ বল থেকে ৪৮ রানের জুটি গড়ে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচায় দলকে। দলীয় ৬৬ রানে মাশরাফিকে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।

মাশরাফি বিদায় নিলেও আরেক প্রান্ত থেকে রান তুলতে থাকেন তানজিম সাকিব। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্যের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। দলের রান যখন ৮৫ তখন হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। তবে তার আগে খেলেন ৩৬ বলে ৪১ রানের এক সময়োপযোগী ইনিংস। ৫টি চার ও ২টি ছয়ে সাজান ইনিংসটি।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৯২ রান তুলতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তানজিম সাকিব এবং মাশরাফি ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বিধ্বংসী শুরুর পর আলো কেড়ে নেন রংপুরের আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। ওমরজাইও নেন ৩টি উইকেট।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭