ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

ব্যবসায়ীদের ইউটার্ন, তারেক বিপাকে


প্রকাশ: 27/01/2023


Thumbnail

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তখন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ছিলেন তারা গোপনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরকম অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী গ্রুপকে বিভিন্ন সংস্থা চিহ্নিত করেছে। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিন্তু গোপনে তারেক জিয়াকে অর্থায়ন করে। এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মনে করেছিল, সরকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। কাজেই এখন বিএনপির সাথে একটি গোপন সম্পর্ক রাখা ভালো। যাতে তাদের ভবিষ্যতে কোনো বিপদে পড়তে না হয়। আর এই অর্থ বিএনপির আন্দোলনে প্রলুব্ধ করা ছিল। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির ব্যাপক সমাবেশ এবং ব্যাপক অর্থ ব্যয় থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপির কাছে প্রচুর অর্থ আসছে। 

আওয়ামী লীগ আমলে টেলিভিশন, সংবাদপত্র পাওয়া একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তারেক জিয়ার কাছে অর্থ পাঠিয়েছেন এমন বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। সাবেক হাওয়া ভবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবার আওয়ামী লীগ আমলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ রেখে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করা। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি একটি ইংরেজী পত্রিকায় সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির ব্যাপক সমালোচনা করছে। সেরকম একটি ব্যবসায়িক গ্রুপও তারকের সঙ্গে নতুন করে তাদের সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 


বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গেও তারেকের যোগাযোগ হয়েছিল এবং তারা তারেককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল এমন অভিযোগও কোনো কোনো মহল থেকে উঠে এসেছিল। এই সমস্ত ব্যবসায়ী গ্রুপদের আর্থিক সহায়তার কারণে বিএনপির আন্দোলনে গতি পেয়েছিল এবং তারা সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে ততই এই ব্যবসায়ীরা বুঝতে শুরু করে যে, সরকারের পতন এতো সহজ নয়। সরকার আইএমএফের থেকে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মহল যখন জানতে পারে যে, এরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তখন সরকারও নজরদারি বাড়ায়। এর ফলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কথিত ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো ইউটার্ন নেয়। তারা বিএনপিকে এবং তারেক জিয়াকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে শুরু করে। সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় যোগাযোগ। ফলে বিএনপির আন্দোলনে যে জোয়ার এসেছিল সেই জোয়ারে ভাটার টান আসে। আর অন্যদিকে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এখন এ ধরনের কয়েকজন ব্যবসায়ী সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাত্তা পাচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা একটা বিষয় বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগের দোষ ক্রটি আছে, তবে শেখ হাসিনার বিকল্প এখন নেই। ফলে তারা আবার তারেক বিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে বিএনপির আন্দোলনে শক্তি হচ্ছেনা। কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ জোগাড় করার জন্য বিএনপি নেতারা লন্ডনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু লন্ডন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারছে না। ফলে বিএনপির আন্দোলন যেমন গতি হারাচ্ছে তেমনি বিপাকে পড়েছেন তারেক জিয়াও। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭