ইনসাইড গ্রাউন্ড

কুমিল্লার টানা পাঁচ, লড়াই করে হারলো খুলনা


প্রকাশ: 28/01/2023


Thumbnail

আগের ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে অল্প রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো খুলনা টাইগার্স। সহজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে টুর্নামেন্টে নিজেদের পথটাও কঠিন করে তোলে দলটি। তবে সে ক্ষত পাশে সরিয়ে, কুমিল্লার বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচে প্রবল লড়াই করলো খুলনা। অবশ্য শেষ বলের সমীকরণে খুলনাকে ৪ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর আসরে নিজেদের টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো কুমিল্লা। আর ৫ম হার নিয়ে খাদের আরো কিনারায় চলে গেলো খুলনা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা। দলীয় ১৪ রানে তামিম ইকবালের উইকেট হারায় খুলনা। তবে অ্যান্ডু বালবিরনি ও শেই হোপ এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়েও জীবন পান বালবিরনি। তবে দলের স্কোর যখন ৬৩, তখন রানআউটে কাঁটা পড়েন এই আইরিশ ক্রিকেটার। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল হাসান জয়।

২০০ স্ট্রাইক রেটে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুটি করে চার ও ছয়ে ১৩ বলে ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে মোসাদ্দেকের শিকার হন জয়। দারুণ এক ক্যাচে তাকে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মাদ রিজওয়ান। দলের স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করে তাকে অনুসরণ করেন আজম খান। তবে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শেই হোপ ও ইয়াসির আলী।

১৯তম ওভারের প্রথম বলে নাসিম শাহ'র বলে বোল্ড হন শেই হোপ। জযের জন্য তখনো ১১ বল থেকে ২৪ রান দরকার খুলনা টাইগার্সের। শেষ ওভারে তাদের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ১৭ রানের। মোসাদ্দেকের করা সেই ওভারে একটি করে চার ও ছয় হাঁকিয়ে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখেন ইয়াসির আলী। তবে শেষ বলের সমীকরণ মেলাতে না পারায় হার সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় খুলনার অধিনায়ককে। ১৯ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। নাসিম শাহ ২টি উইকেট নিলেও, কুমিল্লা সবচেয়ে সফল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মাদ রিজওয়ান দলকে ভাল সূচনা এনে দেন। রিজওয়ান একপাশে ধরে খেললেও, দৃষ্টিনন্দন শটের পসরা বসিয়েছিলেন লিটন। দুজনে উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৬৫ রান। লিটন তুলে নেন চলতি আসরে তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। দলীয় ৬৫ রানে তাকে ফিরিয়ে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাহিদুল ইসলাম। ৪২ বলে ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। 

দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ানের সাথে জনসন চার্লসের জুটি ভাল অবস্থানের দিকে নিতে থাকে কুমিল্লাকে। ৫টি ছয়ে ২২ বলে ৩৯ রানের ঝড়ে ইনিংস খেলে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হন চার্লস। বাকি পথটা দলকে টেনে নিয়ে যান রিজওয়ান ও খুশদীল শাহ। মাত্র ২৩ বল থেকে তাদের ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভাল সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৪৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। শেষ ৫ ওভার থেকে স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করে দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ২ উইকেটে ১৬৫ রান।

খুলনার বোলাররা ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেন নি। প্রায় সবাই ছিলেন খরুচে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন নাসুম আহমেদ। সতীর্থরা যেখানে সবাই ৭ এর উপর গড়ে বোলিং করেছেন, সেখানে নাসুমের গড় ৩.৭৫। কোন উইকেট না পেলেও ৪ ওভার থেকে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন তিনি। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদুল ও ওয়াহাব রিয়াজ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭