দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে প্রতিনিধি সভা নামে আয়োজন হলেও কেন্দ্রীয় তিন নেতার বক্তব্যই ছিল পুরো সময়। সেখান থেকে ৬ নির্দেশনা পেলেও ময়মনসিংহ থেকে আগত প্রতিনিধিরা কেউই কিছু বলতে পারেননি। আগামী বর্ধিত সভায় বলতে পারবেন এমন আশ্বাস নিয়ে ফিরতে হয়েছে ময়মনসিংহ থেকে আসা প্রতিনিধিদের। এ বিষয় নিয়ে অনেকেই আশাহত হলেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। এ রকম বাস্তবতায় তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষার করার অভিযোগ উঠেছে দলটির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, প্রতিনিধি সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী ডা. দীপু মনি। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি সভাটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
তবে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করার অভিযোগ অস্বাকীর করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে না। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই আমাদের দলের প্রাণের সঞ্চার। আমরা কোনো ভাবেই তাদেরকে অস্বীকার করতে পারি না। গত বৃহস্পতিবার যে সভাটি ছিল সেটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমরা তাদেরকে শুধু নিদের্শনা দেওয়ার জন্য ডেকে এনেছিলাম। আমরা জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা কবর। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা সারা দিনব্যাপী কথা বলার সুযোগ থাকবে এবং তাদের মতামত গুলোকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা হবে।