ইনসাইড গ্রাউন্ড

হৃদয়-রুবেলে সিলেটের দাপুটে জয়


প্রকাশ: 31/01/2023


Thumbnail

প্লে অফে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের নবম আসরে নিজেদের অবস্থান আরো পোক্ত করলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৩১ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে শুরুটা ভালই হয় সিলেটের। শান্ত সাবধানে ব্যাট চালালেও, শুরু থেকে আক্রমণাত্নক তৌহিদ হৃদয়। ইনিংসের ৫ম ওভারে বল হাতে নিয়ে শান্তর উইকেট তুলে নেন বিপিএলে অভিষেক হওয়া ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার মার্ক ডিয়াল। পরের ওভারে স্পিনার নাসুম আহমেদের উপর চড়াও হন তৌহিদ হৃদয়। তিন চারে সে ওভার থেকে ১৬ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে সিলেট। পাওয়ার প্লের নির্ধারিত ৬ ওভার থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সংগ্রহ দাড়ায় ১ উইকেটে ৪৮ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানের সাথে ১১৪ রানের জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। ইনজুরি থেকে ফিরে সবশেষ দুই ম্যাচে রান না পেলেও, খুলনার বিপক্ষে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন হৃদয়। বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়ে ৩৪ বল থেকে তুলে নেন অর্ধশতক। যা বিপিএলের চলতি আসরে তার চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। আফিফ ও ইফতিখারকে টপকে বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার চারে উঠে যান তিনি। আরেক প্রান্ত থেকে জাকির হাসানও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। দুজনের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলটি।

দলীয় ১৩৯ রানে নাহিদ রানার বলে ইয়াসিরের কাছে ক্যাচ দিয়ে থামেন হৃদয়। তবে তার আগেই ভেঙে দিয়ে যান খুলনার বোলারদের আত্নবিশ্বাস। ৪৯ বলে করেন ৭৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫১। হৃদয় ফিরলেও রানের গতি ধরে রাখেন জাকির। তিনিও বিপিএলে প্রথম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ পান এই ম্যাচে। যদিও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি তিনি। নাহিদুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে তরুণ এই ব্যাটার। ৩৮ বলে দুই চার ও ৪ ছয়ে ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১৬২ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও।

শেষদিকে রায়ান বার্ল ও থিসারা পেরেরার ক্যামিও ইনিংসে খুলনার সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে সিলেট। খুলনার হয়ে ২টি উইকেট নেন মার্ক ডিয়াল। আর নাহিদুল ইসলাম ও নাহিদ রান শিকার করেন ১টি করে উইকেট।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ রানে দুই ওপেনার অ্যান্ডি বালবিরনি ও তামিম ইকবালের উইকেট হারানোর পর কিছুটা মন্থর হয়ে যায় খুলনার রানের গতি। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে দুজনকেই ফেরান রুবেল হোসেন। তৃতীয় উইকেটে শেই হোপ ও মাহমুদুল জয় ৫৪ রানের জুটি গড়েন। শেই হোপকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রেজাউর রহমান।

দলের রান একশো পেরোতেই বিদায় নেন জয়। ঝড়ের আভাস দিয়েও মিইয়ে যান আজম খান। পাকিস্তানি এই দীর্ঘদেহী ব্যাটসম্যান খেলেন ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। পরের ওভারে তার দেখানো পথে হাঁটেন মার্ক ডিয়াল। ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারালে ফিকে হতে থাকে খুলনার জয়ের সম্ভাবনা। অধিনায়ক ইয়াসির আলীও দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতে বিদায় নেন তিনিও। মাঝে পায়ে চোট পেয়ে বোলিং শেষ না করেই মাঠ ছেড়ে যান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

শেষ দিকে সাইফুদ্দিন ও নাসুম আহমেদের ব্যাটে শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে খুলনা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬১ রানে থামে তাদের ইনিংস। সিলেটের হয়ে ৪টি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পকেটে পুড়েছেন তৌহিদ হৃদয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭