ইনসাইড গ্রাউন্ড

চলতি বিপিএলে সেরা স্ট্রাইকরেটে সাকিব ৩য়, শান্ত ৪৭ তম


প্রকাশ: 02/02/2023


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের চারটি পর্ব শেষে আগামীকাল থেকে আবারো শুরু হবে ঢাকা পর্ব। ৩২ ম্যাচ শেষে ইতিমধ্যে চলতি আসরে তিনটি দল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে থেকে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দল হিসেবে সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল। শেষ চারে যাওয়ার অপেক্ষমান আর একটি দল। কোন অঘটন না ঘটলে  সেটি হতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। আর একটি ম্যাচ জয় পেলেই নুরুল হাসান সোহানের দলটি চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করবে।

আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচি ও বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থাকায় বৈশ্বিক কোন তারকা ক্রিকেটার ছাড়াই শুরু হয় বিপিএলের নবম আসর। তবে বিদেশিদের কোটায় অধিকাংশ ছিলো পাকিস্তানি ক্রিকেটার। পাক ক্রিকেটাররা খেললেও চলমান আসর ছিলো দেশিয় ক্রিকেটারদের প্রমাণ করার বড় মঞ্চ। সে সুযোগ আমাদের ক্রিকেটাররা কতটুকু প্রমাণ করতে পেরেছে সেটি পরিসংখ্যান বলে দেয়।

বর্তমান টি-টোয়েন্টির যুগে মাঠে এবং মাঠের বাহিরের দর্শকরা দেখতে চায় একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। যেখানে তুমুল লড়াই হবে ব্যাটে বলে। চার ছক্কায় সীমানা পার করবে একের পর এক। এমন উত্তেজনাকর ম্যাচ দেখতে অব্যস্ত ক্রিকেট প্রেমীরা। চলমান বিপিএলেও দেখে গিয়েছে এমন কিছু ম্যাচ। প্রথম পর্বে ফরচুন বরিশালের ১৯৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। আর সর্বশেষ সিলেট পর্বে খুলনার দেওয়া ২১১ রান তাড়া করে জিতে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ ধরণের ম্যাচে বিশেষ প্রভাব ফেলে একজন ক্রিকেটারের স্ট্রাইকরেট। বিশেষ করে যখন কোন দল বড় টার্গেট তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে যাবে তখন ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট খুব গুরুত্বপূর্ণ সে দলের জন্য। চলতি আসরে আমাদের দেশিয় ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেটে কতটুকু এগিয়ে দেখে নেওয়া যাক।

চলতি বিপিএল আসরে এখন পর্যন্ত ৩২ টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে এর মধ্যে সেরা দশ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছে এমন বাংলাদেশি মাত্র তিন জন। তার মধ্যে জাতীয় দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিবের অবস্থান তৃতীয়। দেশ সেরা এ বাঁহাতি ব্যাটার ৮ ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন ১৮৫.১২ স্ট্রাইকরেটে। ৩১১ রান নিয়ে তিনি বিপিএলের ৩য় সর্বোচ্চ রান স্কোরারও। অন্য দুইজন আবার জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ নয়। একজন দীর্ঘদিন আগেই দল থেকে বাদ পড়েছেন অন্যজন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও নিজের প্রতিভা প্রমাণে ব্যর্থ।  সেরা স্ট্রাইকরেটের ৫ নম্বরে আছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জিয়াউর রহমান। চার ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে জিয়াউর রহমান ব্যাটিং করেছেন ১৬৪ স্ট্রাইকরেটে। জিয়াউর রহমানের সমান ৪ ম্যাচ খেলা শামিম হোসেনের স্ট্রাইকরেট ১৫৪। তালিকায় সবার উপরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের খেলোয়াড় রায়ান বার্ল। জিম্বাবুয়ের এই তারকার স্ট্রাইকরেট ২২৯ যদিও মাত্র দুইটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেরা স্ট্রাইকরেটের দ্বিতীয় স্থানে ফরচুন বরিশালের করিম জাননাত। তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৮৯.২৩ স্ট্রাইকরেটে।

এখন পর্যন্ত চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। জাতীয় দলেরও ওপেনার তিনি। ৩৫৬ রান নিয়ে সবার উপরে থাকলেও শান্তর স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৪.৪৭। সেরা স্ট্রাইকরেটে তালিকায় শান্তর অবস্থান ৪৭ তম স্থানে। অথচ সেরা ১৫ স্ট্রাইকরেটের মধ্যে রয়েছে তৌহিদ হ্রদয় ও জাকির হাসানের মতো নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা। সিলেটের হয়ে ১০ ম্যাচেই ওপেন করা নাজমুল শান্তর এমন স্ট্রাইকরেট টি-টোয়েন্টিতে কতটুকু স্বস্তির সে প্রশ্ন তোলা থাকুক নির্বাচকদের কাছেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই স্ট্রাইকরেট দলের উপকারের চেয়েও ক্ষতি বয়ে আনে বেশি। সেটি বুঝবেন কবে নাজমুল হোসেন শান্ত?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭