প্রকাশ: 02/02/2023
ক্লাব
ফুটবলে একটা দল কেমন মৌসুম
পার করবে তার অনেকটা নির্ভর করে কেমন দল গঠন করা
হয়েছে তার উপরে। তাই সারা বছর জুড়েই ক্লাবগুলো দৃষ্টি থাকে বিভিন্ন ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে অবদান রাখা খেলোয়াড়দের উপরে। নতুন একজন খেলোয়াড় বদলে দিতে পারে দলের ফলাফল। গত গ্রীষ্মের মৌসুমে
ব্রাজিলিয়ান তারকা কাসেমিরোকে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নিয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। টানা ৬ বছর ক্লাব
ফুটবলে বড় কোন শিরোপা জিততে
না পারা ম্যানচেস্টার চলতি মৌসুমে চারটি শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে আছে। ব্রাজিলিয়ান তারকার উপস্থিতি বদলে দিয়েছে ম্যানচেস্টারের পরিস্থিতি।
এক সময় ক্লাব ফুটবলে গ্রীষ্মকালীন
দলবদল ছিলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল। সেখান থেকে ফিরে এসেছে ক্লাব মালিকরা। এখন জানুয়ারির দল বদলেও দেখা যায় বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে। যেমন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল চেলসি রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে বেনফিকা থেকে আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজকে
দলে ভিড়িয়েছে। ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে ফার্নান্দেজকে
দলে টেনেছে চেলসি। যা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ফুটবলে জানুয়ারির দলবদলে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর্জেন্টাইন এই তারকা গেলো বিশ্বকাপে উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জিতেছিলো। এনজোকে দলে টেনে মাঠের ফুটবলে
তার প্রতিফলন ঘটাতে চাইবে ইংলিশ এই ক্লাবটি।
শীতকালীন দলবদলে চেলসির মতোই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো গুরুত্বপূর্ন কিছু রদবদল করেছে। জানুয়ারির দলবদলের শেষ দিনে চমক ছিলো জোয়া কানসেলোর বায়ার্ন মিউনিখে যোগদান করা। ম্যান
সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর জেরেই মূলত ক্লাব ছাড়তে হলো জোয়া
কানসেলোকে। দল এবং গার্দিওলার
সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে পড়ায় তাঁকে ধরে রাখার চেষ্টা করেনি সিটি। শেষ পর্যন্ত ৬১ মিলিয়ন পাউন্ডে
কেনার সুযোগ রেখে তাঁকে দলে টেনে নিয়েছে বায়ার্ন।
পর্তুগিজ
তারকা না থাকায় ভুগতে
হবে সিটিকে। তবে কানসেলোর পরিবর্তে সিটির ভাবনায় নাথান এবং রিকো লুইস। কিন্তু বড় ম্যাচে দলের
জয়ে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশণ থেকে যায়। তবে গার্দিওলার পছন্দ নাথানের উপরে। নেদারল্যান্ডেসের এই তারকাকে নিয়ে
সম্প্রতি েকটি মন্তব্য করেছেন সিটির কোচ। তিনি বলেন, ‘কেউ
নাথানকে নিয়ে কথা বলছে না। বর্তমানে লেফটব্যাক হিসেবে সে আমাদের প্রত্যাশার
বেশি কিছু দিচ্ছে।’
গার্দিওলা–কানসেলো দ্বন্দ্বের বড় সুবিধাটা পাবে
বায়ার্ন মিউনিখ। লিগে শীর্ষে থাকলেও তাদের সেই অবস্থান সুনিশ্চিত নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগেও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা
করছে ‘মিউনিখদের’দের সামনে। সেই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
ডিফেন্সিভ লাইনে বায়ার্নকে বাড়তি শক্তি দেবেন কানসেলো।
জানুয়ারিরি
দলবদলে গা ভাসিয়েছেন আর্সেনলালও
প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে থাকা আর্সেনাল দলে
ভিড়িয়েছে কিছু নতুন তারকাকে। যেখানে ব্রাইটন থেকে আসা লেয়ান্দ্রো ট্রসার এবং চেলসি থেকে নিয়ে আসা জর্জিনিও উল্লেখযোগ্য। দুই বছর আগে চেলসির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন জর্জিনিও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চেলসিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন এই ইতালিয়ান মিডফিল্ডার।
বেশ আগে থেকে তাঁর চেলসি ছাড়াটা অনুমেয় ছিল। শেষ পর্যন্ত স্টামফোর্ড ব্রিজ ছেড়ে আর্সেনালে গেলেন জর্জিনিও।
জানুয়ারির
দলবদলে সবার চেয়ে একধাপ এগিয়ে চেলসি। টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নেমেছিল ক্লাবটি। মিখাইল মুদরিক, জোয়াও ফেলিক্স, বেনোয়া বাদিয়াশিল এবং এনজো ফার্নান্দেজের মতো তারকা
দলে ভিড়িয়েছে ব্লুজরা। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভুগছে গ্রাহাম পটারের দলটি। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ১০ নম্বরে। লিগ
শিরোপার আশা নেই বললেই চলে। এখন ক্লাবটির লক্ষ্য হতে পারে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেরা চারে মৌসুম শেষ করা। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগেও যত দূর সম্ভব
এগিয়ে যাওয়া। তবে ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট’ হলে চেলসিকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু হারাতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চাকরি
নিয়ে সংশয়ে পড়তে পারেন পটারও।
কাসেমিরোকে
দলে ভিড়িয়ে অনেকটা নির্ভার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিগে রয়েছেন দারুণ ছন্দে তাই জানুয়ারির দলবদলে খুব একটা ঝুকি নেননি ম্যানইউ। বেসিকতাস থেকে আনা ডাচ তারকা ভাউগ ভেগহোর্স্ট নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার পথে আছেন। আর একেবারে শেষ
মুহূর্তে তারা চমক দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে মার্সেল সাবিটজেরকে ধারে নিয়ে এসে।
প্রিমিয়ার
লিগের অন্যতম পরাশক্তিদের একটি লিভারপুল ক্লাব। দলবদল টা সুবিধার করতে
পারেনি প্রিমিয়ার লিগের পুরোনো এই ক্লাবটি। দলের
মাঝমাঠে সমস্যা থাকলেও দলে ভিড়িয়েছে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় কোডি গাপকোকে। ক্লাব ফুটবলে এখনো নিজেকে সে ভাবে মানিয়ে
নিতে পারেননি ডাচ এই তারকা।
চলতি মৌসুমে স্পানিশ সুপার কাপ জয়ী বার্সেলোনা দারুণ ছন্দে থাকলেও জানুয়ারির দল বদলে খুব একটা সক্রিয় ছিলোনা ক্লাবটি। বার্সার মতো আরেক স্পানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ খরচ করেননি বড় কোন অর্থ।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭