ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিবর্ণ চট্টগ্রামের বিপক্ষে দাপুটে জয় কুমিল্লার


প্রকাশ: 04/02/2023


Thumbnail

বিপিএল ক্রিকেটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, যা দলটির টানা সপ্তম জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও নিজেদের অবস্থান শক্ত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এবারের বিপিএলের শুরুটা খুব বাজে হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়ে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছে ইমরুল কায়েসের দল। টুর্নামেন্টে এটি ছিলো দুই দলেরই ১০ম ম্যাচ। আগেই প্লে-অফ পর্বে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। আর টুর্নামেন্ট থেকে চট্টগ্রাম ছিটকে যাওয়ায় তাদের জন্য ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতার হলেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্রাথমিক পর্ব শেষ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছিলো কুমিল্লা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরি।

তবে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি দলটির। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার মেহেদী মারুফকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তানভীর ইসলাম। এক ওভার পর আবারো আঘাত হানেন তানভীর। এবার এই স্পিনারের শিকার খাজা নাফে। লফটেড শট খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলে করতে পারেন নি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ নেন সৈকত আলী। মাত্র ৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন উসমান খান ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওভারপ্রতি ৫ গড়ে ৩০ রান তোলে দলটি। তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েন উসমান ও আফিফ। অর্ধশতক তুলে নেন উসমান। তবে এরপরই সৈকত আলীর বলে জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪টি চার ও ৩ ছয়ে ৪১ বলে করেন ৫২ রান। দলকে বড় সংগ্রহের আশা দেখাতে থাকেন আফিফ ও অধিনায়ক শুভাগত হোম। 

তবে দলীয় ১২৯ রানে ১৭তম ওভারের শেষ বলে রান আউটে কাঁটা পড়েন শুভাগত। পরের ওভারের প্রথম বলে আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারও অধিনায়কের পথে হাঁটেন। আর পঞ্চম বলে জিয়াউর রহমান ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে রান তোলার গতি কমে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ হোসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে হাসান আলীর শিকারে পরিণত হন আফিফ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে সাজান নিজের ইনিংস। তবে দারউইস রাসুলির ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভাল সংগ্রহই পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৬ রান। দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও হাসান আলী।

আগের ম্যাচে হাতে চোট পাওয়ায় এদিন দলে ছিলেন না লিটন দাস। তবে চট্টগ্রামের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আত্নবিশ্বাসের ছাপ রাখছিলেন দুই ওপেনার সৈকত আলী ও মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তবে ২০ রানে সৈকতকে সাজঘরে ফেরান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। ক্রিজে এসে দ্রুত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। তবে জিয়াউর রহমানের একটি বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমরুল। দলীয় ৫৭ রানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লসকেও ফেরান জিয়া। কিন্তু কুমিল্লার আশার আলো হয়ে ছিলেন মোহাম্মাদ রিজওয়ান। তুলে নেন আসরের চতুর্থ অর্ধশতক।

মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৫২ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান রিজওয়ান। ১৩৩ রানে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে আউট হন রিজওয়ান। ৪৭ বলে করেন ৬১ রান। বাকি পথটা জাকের আলীকে নিয়ে অনায়াসে পাড়ি দিয়েছেন মোসাদ্দেক। এক ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কুমিল্লা। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭টি করে জয়ে সমান ১৪ পয়েন্ট ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে অবস্থান করছে বরিশাল আর তিনে কুমিল্লা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭