ইনসাইড পলিটিক্স

যে কারণে ‘ইউনিয়ন পদযাত্রা’ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি


প্রকাশ: 06/02/2023


Thumbnail

গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি বলে জানা গেছে। এতে বিএনপির সমমনা দলগুলোও অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে হঠাৎ করেই ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন কর্মসূচিতে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

এই কর্মসূচির আড়ালে বিএনপি এখন নির্বাচনী প্রচারণায় নামছে কিনা সেই প্রশ্নটি বড় হয়ে সামনে চলে আসছে। উল্লেখ্য যে, আন্দোলনের আড়ালে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। বাকি ১০০ আসন শরিকদের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। আবদুল আউয়াল মিন্টু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অন্তত ঘনিষ্ট বলে তার অনুসারীরা দাবি করছেন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনীতি মূলত শহর কেন্দ্রিক। আরও সুস্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাজনীতি হল রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক। সরকার বিরোধী আন্দোলন বা সরকার পাল্টা বদলের আন্দোলনে যেই দল ঢাকাকে বদল করতে পেরেছে রাজনীতির হাওয়া সেই দলই উপভোগ করতে পেরেছে। অতীতে সব সময় এমনই হয়েছে। রাজধানী ঢাকা হল যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাজনীতির প্রাণ কেন্দ্র। সুতরাং কোনো দাবি আদায় করতে হলে ঢাকাকেই বদল করতে হবে। এটি বিএনপিও ভালো ভাবে জানে। যে কারণে গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা বদল করতে চেয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত দলটি সে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এখন কর্মসূচি নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করার ঘোষণায় রাজনীতিকে নানা আলোচনার সৃষ্টি করছে।

রাজনীতির কোনো কোনো মহল মনে করছে যে, বিএনপি যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও দলটি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু দলটি এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছে ক্ষমতাসীন সরকার কোনো ভাবেই সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচন করবে না। তাই অতীতের মতো সরকার যাতে করে ভোটে অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে দলটি। এর মধ্য বিএনপি আসলে নির্বাচনের প্রচারণায় নামছে। আগামী নির্বাচনে কোনো ভাবেই সরকার যেন সুবিধা করতে না পারে বরং নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ে সেই ধারণা থেকেই বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করবে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। তবে বিএনপি আসলে কি চাইছে তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এই কর্মসূচির আড়ালে বিএনপি এখন নির্বাচনী প্রচারণায় নামছে কিনা সেই প্রশ্নটি বড় হয়ে সামনে চলে আসছে। উল্লেখ্য যে, আন্দোলনের আড়ালে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। বাকি ১০০ আসন শরিকদের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। আবদুল আউয়াল মিন্টু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অন্তত ঘনিষ্ট বলে তার অনুসারীরা দাবি করছেন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনীতি মূলত শহর কেন্দ্রিক। আরও সুস্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাজনীতি হল রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক। সরকার বিরোধী আন্দোলন বা সরকার পাল্টা বদলের আন্দোলনে যেই দল ঢাকাকে বদল করতে পেরেছে রাজনীতির হাওয়া সেই দলই উপভোগ করতে পেরেছে। অতীতে সব সময় এমনই হয়েছে। রাজধানী ঢাকা হল যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাজনীতির প্রাণ কেন্দ্র। সুতরাং কোনো দাবি আদায় করতে হলে ঢাকাকেই বদল করতে হবে। এটি বিএনপিও ভালো ভাবে জানে। যে কারণে গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা বদল করতে চেয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত দলটি সে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এখন কর্মসূচি নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করার ঘোষণায় রাজনীতিকে নানা আলোচনার সৃষ্টি করছে।

রাজনীতির কোনো কোনো মহল মনে করছে যে, বিএনপি যেহেতু ইতোমধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও দলটি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু দলটি এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছে ক্ষমতাসীন সরকার কোনো ভাবেই সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচন করবে না। তাই অতীতের মতো সরকার যাতে করে ভোটে অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে দলটি। এর মধ্য বিএনপি আসলে নির্বাচনের প্রচারণায় নামছে। আগামী নির্বাচনে কোনো ভাবেই সরকার যেন সুবিধা করতে না পারে বরং নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ে সেই ধারণা থেকেই বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করবে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। তবে বিএনপি আসলে কি চাইছে তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭