ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এখন বোরো ধানের রোপণের ব্যস্ত সময় এই অঞ্চলের কৃষকের। কিন্তু হাঠাৎ মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে আবারও শীতের প্রকোপ বইতে শুরু করেছে ধানের ওপর নির্ভরশীল জেলার উপর দিয়ে। শহরের তুলনায় গ্রামে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশী। মাঝ রাত থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো জেলা। হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। গতকালের তুলনায় আজ সোমবার ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমেছে। রাস্তায় যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়- সোমবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
হঠাৎ ঘন কুয়াশা এবং বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কর্মজীবীরা বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা সমস্যায় পড়েছেন। ঘর থেকে তারা বের হতে পারছেন না। গতকাল রোববার বেলা ১২টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা ছিল একেবারেই কম। দুপুর ৩টার পর আবারও সূর্যাস্ত হয়ে যায় বলা চলে। সন্ধ্যার পর থেকে হালকা বাতাস এবং রাত থেকে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ছিল।
প্রচণ্ড কুয়াশা ও ঠান্ডার মধ্যে সকাল ৭টার দিকে বোরো জমির কাঁদাপানিতে নেমে ঘাস পরিস্কার করছিলেন নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের মাঠে কৃষক ফজল হোসেন। তিনি বলেন, শীতের কারণে জমি রোপণ করতে দেরি হয়েছে। হঠাৎ করে গত দুইদিন থেকে আবারও শীত জেগে বসেছে। কাঁদা পানিতে নেমে কাজ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে বরফের মধ্যে কাজ করছি।
কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, বাতাসের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা। মাঠে নেমে কাজ করা যাচ্ছে না। বেলা ১২টার পর সূর্যের দেখা মিললেও কাজ হচ্ছে না। এ কারণে খুবই শীত। আমাদের মতো বয়স্ক ও শ্রমজীবি মানুষদের জন্য খুবই সমস্যা হচ্ছে।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রে সহকারি আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বাতাসের কারণে কিছুটা শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। যা শৈত্য প্রবাহের মতো বিরাজ করছে। আজ বা আগামীকালের মধ্যে আবাহওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।