নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 16/02/2018
মরিচের কেজি এক হাজার টাকা। দাম শুনে হয়তো অনেকেই অবাক হচ্ছেন! সিজনে মরিচের কেজি এত হয় কীভাবে। হ্যা মরিচের কথাই বলছি তবে, শীতের কাঁচা মরিচ না, গরম কালের টেপা জাতের মরিচ। টাউন হল বাচারে আগাম আসা এই মরিচ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, টেপা মরিচ সাধারণত গরমকালে বাজারে উঠে। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন থেকেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম একটু বেশি। অনেকেই ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম করে কিনেন।
এছাড়া গরমকালের পটল ও ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা যা গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজির দরে বিক্রি হয়েছে।নতুন ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার মোহাম্মপুর টাউন হল বাজার ও আশেপাশের বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, যতই দিন যাচ্ছে ততই বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে। বিশেষ করে টমেটো, ফুলকপি, পাতাকপির সরবরাহ বেড়েছে কয়েকগুন। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমে এসেছে। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ও পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
কম দামের তালিকায় আরও রয়েছে- মূলা, পেঁপে, গাজর ও আলু। মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে এসব সবজি। আকাশ চুম্বি লাউয়ের দামও কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি পিচ লাউয়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। এখন প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। তাল বেগুন ও শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
মোহাম্মপুর টাউন হল বাজারে বাজার করতে আসা রমজান সরদার জানান, অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম অনুযায়ী সবজির দাম খুব একটা বেশি নয়। তিনি জানান, এর চেয়ে কমদামে বিক্রি করলে আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে বেশি দামের তালিকায় রয়েছে- শসা, লেবু, করল্লা, ও বাজারে উঠা নতুন জালি কুমড়া। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৫০ টাকা এবং করল্লারি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে মিনিকেট বা চিকন চালের দাম। কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজারেও ৫০-৬০ টাকা বেশি দরে ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে।
চিকন চালের দাম বৃদ্ধিতে মোটা চাল দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। প্রতিকেজি স্বর্ণা বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়।
অন্যান্য বাজারের তুলনায় মোহাম্মদপুর টাউন হলে বাজারে দেশি মাছের সরবরাহ বেশি দেখা গেছে। দামও ক্রেতাসাধারণের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। নদীর মাঝারি আকারের বাইম মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাচকিমাছ - ১৮০ টাকা, বাতাসি মাছ- ৩০ টাকা, টেংরা ৩০০- ৩৫০ ও রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। গরুর মাংসের প্রতি কেজি ৪৮০ এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/ জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭