ইনসাইড টক

‘আমলা দিয়ে শিক্ষাপ্রশাসনের উন্নয়ন হবে না’


প্রকাশ: 08/02/2023


Thumbnail

যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী-ই পাস করতে পারে না সে প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসন কোন ভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারে না। ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি এটা নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে, কোন সময় বাড়ছে আবার কোন সময় কমছে। আমাদের দেশে অনেক গুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয় যাদের মূল উদ্দেশ্য শিক্ষাদান নয়, উদ্দেশ্য ব্যবসা। যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারবে না সেগুলো ধরে রাখা কোন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না। এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এখানে শিক্ষার্থীদের দোষ নেই। দোষ হচ্ছে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনের। একজন অভিভাবক তার বাচ্চাকে ভর্তি করায় কিছু শেখার জন্য। কিন্তু পরিণাম সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারে না, এটা হতাশাজনক-বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫০টি প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস না করার কারণ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক আবদুল মান্নান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার সর্ব ক্ষেত্রের দুর্বলতা বাস্তব চিত্র হলো আজকের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষার দুর্বলতা উচ্চশিক্ষার চেয়ে আরও মারাত্মক এবং এটি অনেক ক্ষতিকর। শিশুরাই একদিন উচ্চশিক্ষায় যাবে। প্রাথমিক শিক্ষার যে অবস্থা তারা তো দুর্বল কাঠামোর ভিত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষায় যাবে। যেটি আমাদের জাতির জন্য অনেক ক্ষতি করবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনের কথা বলি কিংবা কুদরত-ই-খুদা-শিক্ষা-কমিশনের কথা বলি কিন্তু এতো বছরেরও আমরা এগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শিক্ষিতের হার বাড়ছে ঠিক কিন্তু সেভাবে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে পারিনি বা বাড়েনি। 

তিনি বলেন, এতো বছরেরও শিক্ষার গুণগত মান না বাড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শিক্ষা প্রশাসন। শিক্ষা প্রশাসন কখনো আমলা দিয়ে হবে না। অর্থাৎ শিক্ষা প্রশাসন আমলা দ্বারা পরিচালিত হলে শিক্ষার মানের উন্নয়ন হবে না। শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষকদের থাকতে হবে। যে আমলা কিছুদিন আগে প্রশাসন দেখতো সে যদি এখন এসে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি দেখেন কিংবা যিনি স্বাস্থ্য দেখতেন তিনি যদি এখন আবার শিক্ষা প্রশাসন দেখেন তাহলে সেখানে এক ধরনের গোলযোগ ঘটে। অর্থাৎ শিক্ষা প্রশাসনের শিক্ষকের কোনো ভূমিকা থাকছে না। যার ভূমিকা থাকছে তিনি একজন আমলা। এটিই বড় জটিলতা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭