ইনসাইড টক

‘আমরা কলেজগুলো নিয়ে পজেটিভলি ভাবতে চাই’


প্রকাশ: 09/02/2023


Thumbnail

‘দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ১৩টি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ কেন পাশ করেনি এ বিষয়টি আমাদের ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে চিঠি দিবে, যেমন রাজশাহীতে ৯টি, আমাদের আছে ১৩টি বা ১৫টি- এমন বিভিন্ন জায়গায় মিলিয়ে বোধহয় ৫০টি কলেজ রয়েছে, যেখানে কেউই পাশ করেনি। কেন পাশ করেনি প্রথমে এ নিয়ে তদন্ত হবে। তারপর বোঝা যাবে। এসএসসিতেও কিন্তু অনেকগুলো পাশ করেনি বিভিন্ন জায়গায়। প্রথমত আমরা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। তাদের যদি কোনো সহায়তা লাগে যে, কেন পাশ করছে না, শিক্ষক নাই, বা ঘরবাড়ি নাই, না ছাত্র নাই?- সেটা আগে দেখতে হবে। আমরা ওদের পানিশমেন্টটা আসলে ওইভাবে দিতে চাই না। আমরা চাই যে, তারা কেন ফেল করলো, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেউ কেন পাশ করলো না- সে কারণগুলো ক্ষতিয়ে দেখে সেই ব্যবস্থাগুলো মন্ত্রণালয় এবং আমরা করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি।’- বলছিলেন দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম।

গতকাল প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এই পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসিতে ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি, তারা কেন পাশ করেনি, কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি না? এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এসব বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম-এর সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেন কেউ পাস করেনি, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এসব বিষয়। পাঠকদের জন্য প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।

প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, যেসব কলেজগুলো থেকে কেউ পাশ করেনি- সে অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রথমত, তারা কেন পাশ করেনি সে কারণগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। দ্বিতীয়ত যদি কোনো ধরনের গাফিলতি থাকে, যেমন শিক্ষক আছে, তারা হয়তো ক্লাস নিচ্ছেন না, বা কলেজে আসেন না। যদি সে রকম হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। আর যদি তাদের কোনো ঘাটতি থাকে, যেমন তাদের শিক্ষকই নাই, ঘর-দোয়াড়  নাই বা অনেক সময় দেখা গেলো, ছাত্র একজন বা দুইজন- এ রকম কলেজও কিন্তু আছে। সেই ব্যাপারগুলো ক্ষতিয়ে দেখে আমরা বরং সহায়তামূলক ব্যবস্থা নিতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে তারা যেন এই কলেজগুলো থেকে পাশ করতে পারে। তারা শিক্ষক, ওই কলেজের যে প্রিন্সিপাল এবং কলেজের যে গভর্নিং বডি আছে, তারা সক্রিয় যেন থাকতে পারে। ওখানকার প্রশাসন যারা আছে, তারাও যেন সক্রিয় থাকতে পারে এবং কলেজগুলো যেন ভবিষ্যতে ভালো চলে। আমরা কলেজগুলো নিয়ে পজেটিভলি ভাবতে চাই।

পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে, কলেজ বা স্কুলগুলোতে কোচিং বাণিজ্য হয়, সেখানে অর্থ দিয়ে যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ না করে, তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের তাদের ব্যাপারে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়, সে ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটা মিটিং হয়েছে, সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার আগে অন্তত একমাস বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টার যে একেবারেই বন্ধ হবে সেটা নয়, অনেক দুর্বল ছাত্র আছে,  যারা কোচিং সেন্টারগুলোতে গিয়ে নিজেরা উপকৃত হয়। আবার কলেজগুলো তারা নিরেজরাই যদি ক্লাস না নিয়ে সেদিকে নজর দেয়, তো সেই ব্যাপারে আমাদের ভাবা উচিৎ। শুধু ক্লাস বাদ দিয়ে কোচিং করানো কলেজে বা স্কুলে-এইটা যদি হয়, তাহলে সেই ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিব বা আমাদের মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, বাইরের কোচিংগুলোর ব্যাপারে আমরা বলতে পারি যে, পরীক্ষার এক মাস আগে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে স্কুল-কলেজে কোচিং চালানোর ব্যাপারটা- এক সময় একটা নিয়ম চিল যে, যারা দুর্বল ছাত্র, এমন একটা চিঠি এসেছিল, তাদের ক্ষেত্রে এক্সট্রা ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। এরকম ছিল যে, যারা দুর্বল ছাত্র-ছাত্রী, তারা স্কুল বা কলেজে ক্লাস করে নিজেদের উন্নতি করতে পারছে না, তাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকের আবেদনের মাধ্যমে তারা যদি শ্রেণিকক্ষের বাইরে অন্য কোথাও অংশগ্রহণ করে, তাহলে সেটার অনুমতি রয়েছে- এমন একটা ব্যাপার ছিল। তবে দেখা যাচ্ছে যে, এটাকে অনেকে কাজে লাগিয়ে একবারে কোচিং বাণিজ্য করেই বসছে। সেটা স্কুল কলেজে অযৌক্তিক এবং ঠিক নয়। এটা আমরা, মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিব। স্কুল-কলেজ নিচে কোচিং সেন্টার চালাতে পারে না।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭