ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিপিএলের গায়ানার ঘাড়ে বিপিএলের কুমিল্লার নিঃশ্বাস


প্রকাশ: 12/02/2023


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের নবম আসর মাঠে গড়ায় গত ৬ জানুয়ারি। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে সে ম্যাচে ৩৪ রানে হারায় রংপুর। দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৫ উইকেটে এবং তৃতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানের হারের খাদের কিনারায় চলে যায় ইমরুল কায়েসের দল। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুড়ে দাড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের সফল গল্প লিখেছে কুমিল্লা। ওলট-পালট ঘটিয়েছেন রেকর্ডের পাতায়।

বিপিএলের নবম আসরে কুমিল্লা প্রথম জয়ের দেখা পায় চট্টগ্রাম পর্বে। ১৬ জানুয়ারি স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে আসে কুমিল্লার প্রথম জয়। এই একটি জয়ের অপেক্ষাই যেন করছিলো দলটি। আগের টানা তিন হারের পর একটি জয় দলের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর কথা বলেছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক। চট্টগ্রামের বিপক্ষে সেই জয়ে আসলেই বদলে যায় দলটি। ২০১২ সালে বিপিএলের যাত্রা শুরুর পর যে কাজটি করতে পারেনি কোন দল, সেটিই এবার বাস্তবে পরিণত করেছে লাল-সোনালী জার্সিধারিরা। একে একে টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে প্লে-অফে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যা বিপিএলের ইতিহাসে একটানা সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড।

চলতি মৌসুমের আগে বিপিএলে টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিলো ফরচুন বরিশালের। সবশেষ আসরে টানা ৭ ম্যাচ জিতেছিলো বরিশাল। ফাইনালে এই কুমিল্লার কাছে হেরে শিরোপা না জেতার সাথে টানা জয়ের দৌড়েও ছেদ পড়ে বরিশালের। ৪ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে বরিশালের রেকর্ডে ভাগ বসায় কুমিল্লা। ৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টানা ৮ ম্যাচ জয়ের কৃীর্তি গড়েন ইমরুল কায়েস-লিটন দাসরা। ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ ম্যাচে রংপুরকে ৭০ রানে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে দলের জয়যাত্রা অব্যাহৃত রাখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এখন দলটির সামনে হাতছানি রয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ম্যাচে অপরাজিত থাকার হাতছানি। তবে সে জন্য এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে ভিক্টোরিয়ান্সদের।

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের রেকর্ডটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ২০১৪ সালে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি খেলেছিল তারা। দুই লিগ মিলিয়ে সে মৌসুমে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা। এই মৌসুমে শিরোপা ধরে রাখতে হলে আরো দুটি ম্যাচ জিততে হবে কুমিল্লাকে। সেটি করতে পারলেও কলকাতার রেকর্ডের আরো কাছে পৌঁছে যাবে কুমিল্লা।

১২টি জয় নিয়ে এ তালিকায় পরের স্থানটি বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সের। কলকাতার মতো বিগ ব্যাশের শিরোপা জেতার পর চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা ধরে রেখেছিলো সিক্সার্সরা। সমান সংখ্যক জয় নিয়ে তারপরে রয়েছে সিপিএলের দল ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ২০২০ সালে সিপিএলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ রেকর্ড গড়ে দলটি।

সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এ তালিকার তিনে থাকা সিপিএলের আরেক দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে কুমিল্লার। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে গায়ানা ২০১৯ সালে ফাইনালে উঠেলেও বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের কাছে হেরে যায়। এখন দেখার বিষয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই জয়যাত্রা কোথায় গিয়ে থামে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭