ইনসাইড আর্টিকেল

ময়লা থেকে খুঁজে পাওয়া ভাঙারি বিক্রি করে চলে ইদ্রিস আলীর সংসার


প্রকাশ: 12/02/2023


Thumbnail

যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখেবা তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। এই কথাটা স্মরণ করেই,  পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পৌরশহরের বালিকা বিদ্যালয় ও বাজার রোডের সংযোগ সড়কে ফেলে রাখা  প্রতিদিনের ময়লার  স্তূপ থেকে ভাঙারি কুড়িয়ে  মিলে মোঃ ইদ্রিস আলীর  চার সদস্য পরিবারের প্রতিদিনের খাবার । 

প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  ময়লার স্তূপের মধ্য থাকা   প্লাস্টিকের বোতল , লোহা, নানা ধরণের বিক্রি করা যায় এমন  বস্তু খুঁজতে থাকেন ইদ্রিস । খুঁজে পাওয়া লোহার রড ও প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য সামগ্রী  ১৫ - ২০ টাকা  কেজি দরে  ভাঙ্গারীর দোকানে বিক্রি করেই  মিলে   ৮০ থেকে ১০০ টাকার মতো  । আর এই টাকাতেই চলে  তার পরিবারের খরচ ।

মোঃ ইদ্রিস আলীর বাড়ী পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে। 

ইদ্রিস আলী আক্ষেপ করে বলেন, সরকার বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি,ভিজিএফ দিলেও আমার মতো হতভাগার কোনটাই জোটেনি  ভাগ্যে । চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে যাদের সম্পর্ক  আছে তারাই বার বার চাউল, ডাল, তেল ও টাকা পেয়ে থাকে। ক্ষোভের শুরে তিনি আরও বলেন, আমি গরীব ময়লা ছানি, অথচ  আমাকে চোঁখে পরে  না কারো । 

বাউফল পৌরসভার  পরিচ্ছন্নকর্মী সেলিম বলেন, প্রতিদিন  পৌরসভার বিভিন্ন  বাসা বাড়ী থেকে আনা  ময়লা আবর্জনা  ফেলে দেওয়ার পরে ইদ্রিস ভাই এগুলো থেকে  খুঁজে পুরানো  বোতল লোহা ভাঙারি জাতীয় জিনিস পত্র নিয়ে থাকে। দেখছি প্রতিদিন এ ভাবে টোকাইয়া থাকে। তার  কখনোই কোনো অসুখ-বিসুঁখ দেখি নাই । আল্লাহর কি লিলা খেলা, বড়োলোকেরা বাসি খাবার খাঁয়না, কারণ বাসি খাবার খাইলে তাদের নাকি অনেক রোগ  হইবে ।৷ অথচ  লোকটা গরীব মানুষ, ধনী মানুষের ফেলে রাখা ডাস্টবিনে  খাবার তুলে নিয়েও খায় অথচ তার কোনো রোগ হয়না। 

এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন,আমি মাত্র কয়েক মাস হলো নির্বাচিত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানানেই। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭