ইনসাইড বাংলাদেশ

অর্থ পাচারের নাটের গুরু তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/02/2018


Thumbnail

প্যারাডাইস পেপারে যেসব বাংলাদেশিদের নাম এসেছে, তারা অধিকাংশই তারেক জিয়ার ঘনিষ্ট। এরা তারেক জিয়ার অবৈধ সম্পদের রক্ষক বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তারেকের টাকাই এরা বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন বেআইনিভাবে। সম্প্রতি, দক্ষিণ ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় কোম্পানি খুলেছে এমন ২০ জন বাংলাদেশির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের এবং দু’একজন ছাড়া সবাই অপরিচিত। তবে এরা প্রত্যেকেই তারেক, তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ।

প্যারাডাইস পেপারে নাম এসেছে শাহনাজ হুদা রাজ্জাক ও ইমরান রহমানের। বাংলাদেশের এদের ঠিকানা বলা হয়েছে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল। এই দুজনেরই নামে মাল্টায় সাউদার্ন আইস শিপিং এবং ওমান আইস শিপিং নামে দুটি কোম্পানি রয়েছে। ইমরান রহমান হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ট। ২০০৩ সালে তিনি বেগম জিয়ার সফরসঙ্গী হয়ে জাপান সফর করেন। ওয়ান শিপিং এবং ওয়ান স্পিনিং এরও ইমরান পরিচালক ছিলেন। এ দুটিই তারেক ও মামুনের প্রতিষ্ঠান। শাহনাজ হুদা রাজ্জাক তারেকের কাছ থেকে কোকো লঞ্চ ১, ২, ৩ কিনেছিলেন। পরে তা বিক্রি করে দেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে ইমরান ভিয়েতনাম প্রবাসী। অনুসন্ধনে দেখা যায়, তারেকের অবৈধ অর্থ যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করতো তাদের মধ্যে ইমরান অন্যতম।

মাল্টায় নিবন্ধিত গেক্সিমকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের (এমটি) সঙ্গে জড়িত তিনজন ব্যবসায়ী এরা হলেন ফারুক পলোয়ান, তুহিন ইসলাম ও তাজুল ইসলাম। এই তিনজনই হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী। এরা তিনজনই নারায়ণগঞ্জ থাকেন এবং বিএনপির সঙ্গে জড়িত।

মাল্টায় নিবন্ধিত আরেক কোম্পানি ইন্টারপিউ। এই কোম্পানির মালিক হলেন ফারহান আকিবুর রহমান ও খন্দকার আসাদুল ইসলাম। এর মধ্যে ফারহান তারেকের স্কুল জীবনের বন্ধু। ওয়ান ইলেভেনে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জবানবন্দি দিয়ে বলেছিলেন ফারহানকে তারেক চাকরি ছাড়িয়ে ব্যবসায় নামায়। ফারহানের টাকা আসলে তারেকের। পদ্মা টেক্সটাইল বলে একটা কোম্পানির মালিক আমান উল্লাহ চাগলা। চাগলা ভারতীয় নাগরিক হলেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ব্যবসায়িক পার্টনার। ২০০১ – ২০০৫ সালে চাগলা বাংলাদেশে হুন্ডির ব্যবসা করতেন। মূলত: এর মাধ্যমেই তারেক তাঁর অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেন বলে জানা যায়।

মাল্টায় নিবন্ধিত মিলেনিয়াম কলেজের নিবন্ধন নেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম। রেজাউল এখন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে থাকেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারেক জিয়া লন্ডনে গেলে প্রথম যারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাদের মধ্যে রেজাউল একজন। তিনি তারেক জিয়ার অন্যতম অর্থদাতা। ২০০১ সালের পর তাকে হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বলা হতো।

দেখা যাচ্ছে, প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে এরা অধিকাংশই তারেকের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ তারেকের অবৈধ সম্পত্তির পাহারাদার। এরাই বাংলাদেশ থেকে সম্পদ পাচার করে কোম্পানি করেছে মাল্টায়।

Read In English: http://bit.ly/2EHIWLJ


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭