ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয়ের রেকর্ড গড়ে ফাইনালে কুমিল্লা


প্রকাশ: 12/02/2023


Thumbnail

গ্রুপ পর্বের বাঁধা শেষ করে প্লে অফের ম্যাচে লড়ছে বিপিএলের দলগুলো। দিনের প্রথম ম্যাচে এলিমেনিটরে মুখোমুখি হয়েছিলো ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স। সে ম্যাচে বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে রংপুর। আর শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দলটি সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। হোম অব গ্রাউন্ড মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে সিলেট।

শেষ মুহুর্তে বিদেশী ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়ে শক্তি বাড়িয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। বাদ যায়নি সিলেট ও কুমিল্লাও। সিলেটের হয়ে এদিন একাদশে নিয়েছেন তিন নতুন বিদেশীকে। আফগানিস্তানের শফিকুল্লাহ গাফারি, শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা ও দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ লিন্ডেকে। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে বিপিএলে ফিরেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী।

ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট। দ্বিতীয় ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন আফগান ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ গাফারি। এক বল পর রান আউটের ফাঁদে পড়েন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেন নি হৃদয়। পরের ওভারের শেষ বলে সুনীল নারিনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দলটি। দলের এমন অবস্থায় পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে ৩৮ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে করেন ২৬ রান। রাসেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।

স্কোরবোর্ডে আট রান যোগ হতেই অধিনায়ককে অনুসরণ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে সতীর্থ হৃদয়কে টপকে আবারো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেছেন শান্ত। পরের বলে রায়ান বার্লকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম। এর ফলে ১৬ উইকেট নিয়ে ঢাকা ডমিনেটর্সের নাসির হোসেনকে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হলেন তানভীর।

তবে প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে ৩০ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন। তবে ১১৭ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিলেটের টেইলএন্ড। ৮ রানের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৭.১ ওভারে অলআউট হয় ১২৫ রানে।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ সাবলীলভাবে এগোতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন ও সুনীল নারাইন ভাল শুরু এনে দেন দলকে। ৪র্থ ওভারে রুবেলের বলে ক্যাচ দিলেও সেখান থেকে সাফল্য আনতে পারেনি সিলেট। তবে ৩২ রানে সে ওভারের শেষ বলে লিটনকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হাসান। পরের ওভারে তানজীম সাকিবের উপর চড়াও হন নারাইন। টানা দুটি ছয়ের পর মারেন একটি চার। তবে পরের বলে নারাইনের স্টাম্পে আঘাত হানেন সাকিব।

৫৮ রানে রান আউটে কাঁটা পড়েন জনসন চার্লস। মোসাদ্দেককে নিয়ে এগোতে থাকেন ইমরুল। তবে ৭৩ রানে আফগান লেগস্পিনার শফিকুল্লাহ গাফারির বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিককে। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে সিলেট। তবে মঈন আলীর ১৩ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সে ওভারে রুবেল জাকের আলীকে ফেরালেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিলেট। বাকি কাজটা সারেন মোসাদ্দেক ও আন্দ্রে রাসেল। ১৫ রানে রাসেল ও ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। রুবেল হাসান নেন ৩ উটইকেট।

৩ ওভার ২ বল হাতে রেখেই ফাইনালের মঞ্চে পা রাখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলে টানা ১০ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে উঠলো ইমরুল কায়েসের দল। এই নিয়ে চারবার ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব দেখালো দলটি। অতীত পরিসংখ্যান ও ইতিহাস অনুপ্রেরণা দিতে পারে কুমিল্লাকে। এখন পর্যন্ত খেলা তিন ফাইনালের সবগুলোতেই শিরোপা উল্লাস করেছে কুমিল্লা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ী দলের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭