ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএল: চার-ছয়ের দৌড়ে কে কোথায়?


প্রকাশ: 14/02/2023


Thumbnail

চার-ছয়ের খেলা টি-টোয়েন্টি। যেখানে ব্যাটসম্যানদের দৌরাত্নে ঘাম ছুটে যায় বোলারদের। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে এটিই নিয়মিত দৃশ্য। তবে টি-টোয়েন্টির এমন রাজত্বকালীন সময়েও বাংলাদেশে হরহামেশাই দেখা যায় লো-স্কোরিং ম্যাচ। দেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএলেও প্রায়ই দেখা যায় দলগুলোকে রান খরায় ভুগতে। এবারো যেমন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৮৯ রানে অলআউট হয়ে গেলে মনে হচ্ছিলো সেই গৎবাঁধাই হবে রানের চিত্র। তবে সময়ের সাথে সাথে সে শঙ্কা কমেছে, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার রানের উৎসব হয়েছে বিপিএলে।

প্রাথমিক পর্বের ৪২টি ম্যাচের সাথে এলিমেনিটর ও একটি কোয়ালিয়ার ম্যাচ শেষ হয়েছে বিপিএলের চলতি মৌসুমে। ফাইনালসহ ম্যাচ বাকি আর মাত্র দুটি। এরপরই পর্দা নামবে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের নবম আসরের। ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা মতো রানের দেখা পাওয়া যায় না- বিপিএলের এই বদনাম নতুন নয়। ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলোতেই যা একটু রান আসে, তাতেই তৃপ্তির ঢেকুড় তুলে থাকেন বিপিএলের কর্তা-ব্যক্তিরা। তবে এবারের বিপিএলে দেখা গেছে ভিন্ন রূপ। বছরজুড়ে খেলা হওয়ায় মিরপুরের উইকেট থাকে নিষ্প্রাণ। সেই মিরপুরেও হয়েছে রান বন্যা। আবার সেসব বড় স্কোর তাড়া করে জয়ের পাল্লাটাও নেহায়েত ছোট নয়। ফলে এবার রানের ফোয়াড়া ছুটিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে বিপিএল, তা বলাই যায়। এই রান বন্যায় বসেছিলো চার-ছয়ের পসরাও।

এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ছক্কা হয়েছে ৫১৩টি। প্রতি ম্যাচে গড়ে ১১.৬৬টি করে প্রায় ১২টি। প্রতি ইনিংসে প্রায় ৬টি করে। তবে সেখানে সবার উপরে রয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ২৩টি। এরমধ্যে তার একমাত্র সেঞ্চুরির ইনিংসে ৯টি ছয় মারেন তিনি। এ তালিকায় তার পরেই রয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১১ ইনিংসে ব্যাট হাতে হাতে নেমে সাকিবের ছয়ের সংখ্যা ২২টি। সেরা তিনের শেষ ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস। ৮ ইনিংসে ২১টি ছয় তার। খুলনার বিপক্ষে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে মেরেছিলেন ১১টি ছয়।

তালিকার বাকিদের মধ্যে বিদেশীদের আধিপত্যই বেশি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মাদ রিজওয়ান ছয় মেরেছেন ১৪টি। রংপুর রাইডার্সের আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩টি ছয়। খুলনার দুই ক্রিকেটার শেই হোপ ও আজম খান এবং কুমিল্লার খুশদীল শাহ হাঁকিয়েছেন ১২টি করে। সমান সংখ্যক ছয় এসেছে এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে চমক দেখানো তৌহিদ হৃদয়। ইয়াসির রাব্বি ও আনামুল হক বিজয়ও মেরেছেন ১২টি। আর ১০টি করে ছয় লিটন দাস, মোহাম্মাদ মিথুন ও রনি তালুকদারের।

তবে ছয়ের ক্ষেত্রে বিদেশিরা এগিয়ে থাকলেও চার মারায় দাপট বাংলাদেশিদের। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ চার মারা সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের সকলেই বাংলাদেশি। ৪৪টি চার নিয়ে সবার উপরে আছেন রনি তালুকদার। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্ত মেরেছেন ৪৩টি। তারই সতীর্থ তৌহিদ হৃদয়ের চারের সংখ্যা ৪১টি। জাতীয় দলের ক্রিকেটার আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬টি চার। আফিফের থেকে দুটি চার কম নিয়ে পাঁচ নম্বরে অবস্থান সাকিব আল হাসানের।

এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের থেকে বিদায় নিয়েছে চার-ছয়ের তালিকায় থাকা অধিকাংশ ক্রিকেটার। আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সিলেটের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লার জনসন চার্লসের সামনে সুযোগ রয়েছে ছয় মারার ক্ষেত্রে ইফতিখারকে টপকে যাওয়ার। সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পাবেন তৌহিদ হৃদয়-লিটন দাস-রনি তালুকদারেরা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭