আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত আমাদের প্রাণের বাংলাভাষাকে সম্মান জানাতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিরকুমার মৃণাল দাশ (৫৫) ৮০০ কি:লো পথ পায়ে হেঁটে সাতক্ষীরা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেন।
চির কুমার মৃণাল দাশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার চুঁচুরা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম অরুণ কৃষ্ণ দাশ। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিরকুমার। পেশায় গৃহশিক্ষক।তিনি গত ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের লেকগার্ডেন থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ভোমরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঢাকার পথে রওয়ানা হন। পিঠের ব্যাগে সযত্নে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ও ভারতের পতাকা পরম শ্রদ্ধাভরে বহন করে নিয়ে চলেছেন।
পথিমধ্যে কথা হয় তালা উপজেলার বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স. ম আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতির সাথে। তিনি চিরকুমার মৃণাল দাশের বাংলাভাষাকে সম্মান জানাতে ৮০০ শত কি:লো পথ পেরিয়ে আসার গল্প শুনে মুগ্ধ হয়ে যান।মানুষটির মধ্যে কোন অহংকার নেই।
চিরকুমার মৃণাল দাশ (৫৫) জানান, বাংলাদেশের মানুষ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। বাঙালি মানে এক সত্ত্বা, এক জাতি। কেবলই সীমান্ত আমাদেরকে পৃথক করে রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহারে তিনি মুগ্ধ। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষায় একমাত্র বাংলাদেশের সন্তানরাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিকামী মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। আমাদের মাতৃভাষার সম্মানে দীর্ঘ ৮০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাংলার মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি।
মহান বাংলাভাষা যে কেবলই বাঙ্গালীর ভাষা নয়, এ যে বিশ্বের সকলের ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাই এ ভাষার সম্মানে ভাষার মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও শহীদের স্মরণে পায়ে হেঁটে ভোমরা হয়ে ঢাকা ঘুরে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আবারও ভারতে প্রবেশ করবেন বলে জানান।