ইনসাইড পলিটিক্স

‘ডিসকানেক্টেড’ মির্জা ফখরুল


প্রকাশ: 14/02/2023


Thumbnail

গত শুক্রবার প্রথম প্রহরে আকস্মিকভাবেই সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্টরা বলছেন, এটা তার  ফলোআপ চেকআপ। প্রতিবছরই তিনি সেখানে ফলোআপ চেকআপ করতে যান। তবে মির্জা ফখরুলের সিঙ্গাপুর পৌঁছার পর তিনি ডিসকানেক্টেড হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিএনপিতে এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা  তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনো ভাবেই তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এ কারণে মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে।

বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, দল এখন ধারাবাহিক ভাবে মাঠে কর্মসূচি দিচ্ছে। এ সমস্ত কর্মসূচির নির্দেশনা আসে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়ার কাছে থেকে। মির্জা ফখরুল সে কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সমন্বয় করেন মাত্র। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই হলেন তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগের প্রধান বাহন। কিন্তু মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর দলের কারো সাথে তিনি কোনো যোগাযোগ করছেন না। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দলের চলমান কর্মসূচি নানা ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মির্জা ফখরুলের এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকান্ডে তাকে নিয়ে বিএনপিতে সন্দেহ বাড়ছে। 

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, এটিই প্রথম না। এর আগেও মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে যখনই বিএনপির আন্দোলন একটা পর্যায় পৌঁঁছেছে ঠিক তখনই মির্জা ফখরুলের ভূমিকা রহস্যময় হয়ে উঠেছে। গত ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই তার অবস্থান রহস্যজনক ভাবে পাল্টাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর গত ৯ জানুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন। পরে ১৬ জানুয়ারি বিএনপির সারাদেশে সমাবেশ কর্মসূচির ঠিক আগের দিন হঠাৎ করেই তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় হঠাৎ করে তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন ছিলো। এখন দলের কর্মসূচি চলার মধ্যেই আবার হঠাৎ করেই তার সিঙ্গাপুরে যাওয়া সন্দেহের অবকাশ বাড়াচ্ছে।

বিএনপির কেউ কেউ অভিযোগ করে বলছেন, সরকারের সাথে সমঝোতার কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাস এমন আচরণ করছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা করেছিলেন। আর সমঝোতার পুরস্কার হিসেবে তিনি বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ নিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে গেছেন এবং সেখানে তিনি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সরকারি আর্থিক সহায়তায় চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন আবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বেই সরকারের সাথে কোনো সমঝোতা হচ্ছে?


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭