ইনসাইড গ্রাউন্ড

রোমাঞ্চকর ম্যাচে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে সিলেট


প্রকাশ: 14/02/2023


Thumbnail

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ১৯ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। ফলে সিলেটের কাছে হেরে নবম বিপিএলের যাত্রা শেষ করলো রাইডার্সরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে দেখা যাবে মাশরাফির সিলেটকে।  

এর আগে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মিরপুর শেরে- বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। শুরুতে দুই ওপেনার শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় ভালো শুরু এনে দেন দলকে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় থাকা এই দুই ব্যাটার ভালোভাবেই সামলে নেন ব্যাটিং পাওয়ার প্লে। তবে দলীয় ৬৫ রানে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হয়ে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে বিদায় নাজমুল শান্ত তখনো উইকেটে ব্যাট হাতে অবিচল থাকেন সিলেটের আরেক ওপেনার হৃদয়

তিনে নামা মাশরাফি মুর্তজা এদিন শুরু থেকেই তান্ডব চালান রাইডার্স বোলারদের উপরে। লম্বা ইনিংসের আবাস দিয়েও ২৫ রানে থাকা অবস্থায় হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকারে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়ও এরপরই চারে নামা রায়ান বার্লকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি। ইনিংসের ১৪ তম ওভারে দুইজনে মিলে তুলে নেন ১৯ রান। কিন্তু পরের ওভারেই দলীয় ১৩২ রানে ফিরে যান বার্ল। বার্লের উইকেট নেন শ্রীলঙ্কান দাসুন শানাকা। পরের ওভারেই আবারও সিলেট শিবিরে আঘাত হানেন ডোয়াইন ব্রাভো। এবার ২৮ রানে থাকা অবস্থায় মাশরাফিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার।

অভিজ্ঞ মুশফিক ফিরেন খুব দ্রুতই। ১৪২ রানে উইকেট হারানোর পর জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। পেরেরা ২১ রানে থাকা অবস্থায় রান আউটে কাটা পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত লিন্ডে অপরাজিত থাকেন করেন ২১ রান। দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় উইকেটে ১৮২ রান।

জবাবে ১৮৩ রানে টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ছন্দ পতন হয় রাইডার্স শিবিরে। বাঁচা-মরার ম্যাচ তাই দুবাই থেকে উড়িয়ে আনা হয় স্যাম বিলিংসকে। কিন্তু দলীয় রানেই তানজিম সাকিবের বলে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান ইংলিশ এই তারকা। হোঁচট কাটিয়ে কিছুটা উঠলেও দলীয় ৩৪ রানে কাটা পড়েন শামিম হাসান। ফলে ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান সংগ্রহ হয় রংপুরের স্কোর বোর্ডে।

তবে উইকেটে এক পাশ টিকে থাকা ওপেনার রনি তালুকদার ছিলেন সাবধানী। চারে নামা নিকোলাস পুরান মিরপুরের উইকেটে নিয়ে আসলেন টর্নেডো। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ক্যারিবিয়ান এই তারকার তান্ডব। লুক উডের বলে মিড অপের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জর্জ লিন্ডের হাতে ধরা পড়েন এই ক্যারিবিয়ান। দলীয় ৬৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বাঁহাতি এই ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ২১৪ স্ট্রাইকরেটে ৩০ রান করেন পুরান। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক সোহান। সোহানকে সাথে নিয়ে শুরুতে ধীর গতিতে খেলা রনি তালুকদার চওড়া হন সিলেটের বোলারদের উপর। লিন্ডের বলে ইনিংসের ১১তম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়েন রনি। তবে রিভিউ নিয়ে এই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।

এরপর রনি-নুরুলের ৮২ রানের জুটিতে দলকে প্রায় জয়ের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায় রংপুর। ম্যাচের সমীকরণ যখন ১৮ বলে ৩৩ রান প্রয়োজন তখন দলীয় ১৫০ রানে কাঁটা পড়েন অধিনায়ক সোহান। তানজিম সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন রাইডার্স অধিনায়ক। ঠিক তখনি শুরু হয় খেলার রোমাঞ্চো, নুরুলের বিদায়ের দুই বল পরে রান আউটে ফিরে যান জয়ের স্বপ্ন জাগানো রনি তালুকদারও। আউট হওয়ার আগে রনির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস। যেখানে প্রতি ওভারে দলের ১১ করে প্রয়োজন তখন ১৮ তম ওভারে রংপুর স্কোর বোর্ডে তুলতে পারে মাত্র ২ রান। উইকেটে তখনো ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন দাসুন শানাকা ও মেহেদী হাসান। লাস্ট দুই ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিলো ৩১ রান। যেটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হরহামেশায় নেওয়া যায়। কিন্তু ১৯ তম ওভারে ইংলিশ বোলার লুক উডের দুই উইকেট শিকারে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় রাইডার্সদের।  শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান পর্যন্ত যেতে পারে রংপুর। ফলে ১৯ রানের পরাজয় নিয়ে নবম বিপিএল আসরের যাত্রা শেষ করে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর রাইডার্স।

সিলেটের হয়ে চার ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে লুক উড। দলের গ্রুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠা তানজিম সাকিব চার ওভারে দেন মাত্র ১৯ রান তুলে নেন দুই উইকেট।  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭