ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলকে হঠাতে একাট্টা স্থায়ী কমিটির একাংশ


প্রকাশ: 15/02/2023


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের নেতৃত্ব থেকে হঠাতে একাট্টা দলের স্থায়ী কমিটির একাংশ। অভিযোগ উঠেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একক নেতৃত্বে চলছে বিএনপি। ফলে দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারা কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল সে অনুযায়ী দল পরিচালনা করছেন। এর বাইরে তিনি দলের কোনো সিনিয়র নেতার সাথে শলা-পরামর্শ করেন না। এছাড়া মির্জা ফখরুলই তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়াতে দলের অন্যরা তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। দেশের পরিস্থিতি এবং দলের প্রকৃত অবস্থার কথাও তার কাছে পৌঁছাছে না। এর মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক। আর এ কারণে দলের স্বার্থেই এখন মির্জা ফখরুলকে নেতৃত্ব থেকে হঠাতে চায় স্থায়ী কমিটির একাংশ।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতেই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা, সন্দেহসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে সময় একাধিক সদস্য মির্জা ফখরুলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে মির্জা ফখরুলের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের অস্বস্তিকরের কথা বলেছেন।

স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে নেতারা জানান, ক্ষমতাসীনদের নানা বাধার পরও গত কয়েক মাসে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করেছে বিএনপি। এতে সারাদেশের নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের মাঝে চূড়ান্ত আন্দোলনের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। বিগত দিনের মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর এর আগে মির্জা ফখরুলের গ্রেফতার হওয়া এবং পরে কারামুক্ত হওয়ার পর তার আচরণ দলে সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি করেছে। কারামুক্তি পাওয়ার পর গত ১৬ ডিসেম্বর দলের সারাদেশ ব্যাপী সমাবেশ কর্মসূচির ঠিক আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি এবং সর্বশেষ গত শুক্রবার আকস্মিকভাবে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যাওয়া সবকিছু নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। সিঙ্গাপুরে গিয়ে তিনি দলের কারো সাথে যোগাযোগ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির কেউ কেউ বলছেন, দলের নেত্রী খালেদা জিয়া যখন বারবার চেষ্টা করেও দেশের বাইরে চিকিৎসা করতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না তখন মহাসচিবের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া কতটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শুধু এবারই প্রথম নয়, প্রতিবছর তিনি নিয়মমিত চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুর যান। আর সিঙ্গাপুর যান তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে সময়ে। আর সেই নির্দিষ্ট সময়টা হলো, সরকার বিরোধীি আন্দোলন যখন একটি পর্যায়ে পৌঁছে তখন তিনি হঠাৎ গ্রেফতার হন, পরে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন এবং চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অথবা থাইল্যান্ডে যান। শুধু তাই নয়, ওই দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে তিনি প্রোটোকলও পান বলে কারো কারো কাছে তথ্য রয়েছে। যা তাদের কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে। সরকারের সাথে সমঝোতার করেই তিনি এ ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা নিয়েই বিএনপিতে প্রশ্ন রয়েছে। আর এ কারণেই দলের নেতৃত্ব থেকে মির্জা ফখরুলকে হঠাতে চায় দলের একাংশ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭