‘বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিলো নেশা
কারা যেন ডাকিলো পিছে, বসন্ত এসে গেছে”
হ্যাঁ, শীতকে বিদায় দিয়ে গাছের ডালে সবুজ কচি পাতা উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমণের কথা। ফাল্গুণের আজ ৫ তারিখ। বসন্ত আসতে না আসতেই চলে এসেছে গরম। বাইরে বের হলেই গালে-কপালে জমে উঠছে ঘামের বিন্দু। র্যাশ, ঘামাচি ও সানবার্নের এই সময়ে তাই বাড়তি সচেতন থাকতে হয় ফ্যাশন সচেতনদের। কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস মেনে চললে কিন্তু ফ্যাশন আর গরমের এই লড়াইয়ে বেশ স্বাছ্যন্দেই জিতিয়ে দেওয়া যায় ফ্যাশনকে।
১. আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করুন-
গরমের এই সময়ে ভারী ও মোটা কাপড় এড়িয়ে চলুন। আরামদায়ক পোশাক পড়ুন, যেমন- সুতি, লিনেন কাপড় দিয়ে তৈরী পোশাক পরুন। খুব টাইট পোশাক না পরে গরমের সময়টাতে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
২. স্নিগ্ধ রঙ ও প্রিন্ট নির্বাচন করুন-
রঙের ক্ষেত্রে স্নিগ্ধ ও হাল্কা রঙগুলোকে নির্বাচন করুন, যেমন- সাদা, হাল্কা গোলাপী, মিন্ট, আকাশী ইত্যাদি। কালো রঙ এড়িয়ে চলুন।প্রিন্টের ক্ষেত্রে ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক এই সময়ে বেশ আরামদায়ক একই সাথে আপনাকে এই প্রিন্ট দেবে সতেজ লুক।
৩. ভারী মেক-আপ এড়িয়ে চলুন-
গরমের সময়ে যেহেতু অতিরিক্ত ঘাম হয় তাই এই সময়ে ভারী মেক-আপকে যতটা এরিয়ে চলা যায় ততটাই ভালো। যতটা সম্ভব ন্যাচারাল বা নো-মেক আপ মেক আপ নিন। এতে অতিরিক্ত গরম আপনার মেক আপকে কেকি করতে পারবে না। একইসাথে, কম মেক আপকে আপনাকে দেখতে লাগবে ন্যাচারাল ও সতেজ।
৪. টিস্যু ও বহনযোগ্য ছোটো ফ্যান সাথে রাখুন-
গরমে তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমে যায়, সাথে ঘাম তো আছেই। তাই সাথে শোবো সময় টিস্যু ও ছোটো হাত ফ্যান রাখুন। যেখানে ফ্যান নেই বা প্রচন্ড রোদ। সেখানে এই ফ্যান ব্যবহার করুন। ত্বক ঘেমে গেলে বা তৈলাক্ত হয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে ফেলুন।
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন-
দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। গরমে যে পরিমাণ ঘাম হয়,সে অনুপাতে পানি যদি কম খাওয়া হয় তাহলে আপনি যতই সুন্দর পোশাক ও মেক আপে থাকুন না কেন আপনাকে দেখতে ক্লান্ত লাগবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান নিশ্চিত করুন।