‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ (সিবিআইএফ) বস্তুতপক্ষে আজ থেকে দুই বছর আগে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৭১ সালকে ধারণ করে, লালন করে, পালন করে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা- উভয় দেশে সেটাকে ধারণ করে- দু’দেশের মানুষের মধ্যে পিপল টু পিপল কানেক্টেভিটি, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সত্যকে ধারণ করে- বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম বৃহৎ দেশ, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে অবদান- আমাদের প্রতি তাদের যে উপকার, ত্যাগ, অবদান - প্রত্যেকটি বিষয় মাথায় রেখেই অন্ততপক্ষে কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকেই মানুষে মানুষে যে মেলবন্ধন সেটাকে তৈরি করাই আমাদের কাজ। বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের যে সহিত্য-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচারের যে আদান-প্রদান, তা করতেই আমরা কাজ করছি। সেটা তো বহুদিন থেকে চলে আসছে- সেটাকে আরও সুশৃঙ্খল গুছানোভাবে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।’ -বলছিলেন সেন্টার ফর বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ (সিবিআইএফ) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা এবং অবস্থান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের কি ধরনের ভূমিকা থাকতে পারে? -এসব বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে সেন্টার ফর বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ (সিবিআইএফ)- এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন তার সংগঠনের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় এবং জাতীয় নির্বাচনে ভারতের অবস্থান কি হতে পারে- এসব কথা। পাঠকদের জন্য অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার- এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
সিবিআইএফ-এর পরিচালনার পেছনে বাংলাদেশ এবং ভারতে কারা রয়েছেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইএফ-এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার বলেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যারা, মূলত এরাই পরিচালনা করছেন। মূলত আমরা স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়েই আমরা কাজগুলো করছি। আমাদের চিফ প্রেট্রোন শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জি। উনার যে নীতি-নৈতিকতার আদর্শের দিকগুলো আছে, সে ভালো লাগা থেকেই আলাপ-আলোচনা করেই আমরা কার্যক্রমগুলো করছি। এর সাথে বাংলাদেশ ভারতের অনেক গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাই সিবিআইএফ-এর সাথে রয়েছে।
আগামী নির্বাচনে ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কেমন হতে পারে? -এমন প্রশ্নে অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার বলেন, এখানে তো কৃষ্টি-কালচালের ব্যাপার। নির্বাচনে সিবিআইএফ-এর তেমন কোনো অ্যাক্টিভিটি থাকবে না। তবে বর্তমান সরকার যে কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রেখেছে, এই ধারাকে অব্যাহত রেখেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার ক্ষমতায় আসুক, এটাই সিবিআইএফ-এর উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ আশা করেন। তবে কখনও কখনও বিশ্বাসের জায়গা থেকে বাংলাদেশ সরে যায়, এই বিশ্বাসের জায়গায় থাকে, আবার সরে যায়। সেটা যেন সরে না যায়, সেই লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে থাকি। এটা একটা ভূ-রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। আমাদের একটা শ্লোগান আছে, উই লাভ বাংলাদেশ, দ্যান উই লাভ ইন্ডিয়া, বাট উই হেট পাকিস্তান। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে আমরা এ কাজটি করছি। বাংলাদেশের কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দগাঁড়াবে এমন কাজ দেখলে সেখানে আমরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াই।
তিনি বলেন,আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কথাটি বলে থাকেন, সবার সাথেই বন্ধুত্ব, কারো সাথেই বৈরিতা নয়- এই শ্লোগানটি আমাদের অনেক ভালো লাগার শ্লোগান। ৭১’র পরে অনেক নেতাই দেশের সাথে, জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাদের অনেকেই বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের ক্ষতি সাধনেও তৎপর থাকেন- এ ধরনের লোকগুলো যেন কখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থান না পায়, সে লক্ষ্যেও কাজ করে থাকে সিবিআইএফ।