লিভিং ইনসাইড

সাজ-পোশাকে একুশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2018


Thumbnail

উৎসব আর রঙের মাস ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসা দিবস, ফাল্গুনের পর আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। উৎসব বা যেকোনো ইভেন্ট যে আমরা শুধু মনে ধারণ করি তা নয়, ফ্যাশন পোশাকেও আছে বিভিন্ন রং আর বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। তেমনি একুশও বাঙালিদের জন্য নিয়ে আসে নতুন রঙ আর ফ্যাশনের ছোঁয়া। ভাষা শহীদদের হারানোর শোককে সাদা-কালো রঙে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি আমরা।
শুধু যে সাদা-কালো রঙকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাই নয়। একুশের বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে পোশাকে বর্ণমালার ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়। আর পোশাকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একুশের গান, কবিতা, স্লোগান ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন পঙক্তিমালাও। যার সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা গৌরবগাথা। এছাড়াও শহীদ মিনার, মানচিত্র, পতাকাসহ একুশের বিভিন্ন চিত্রের প্রকাশ ঘটেছে একুশের পোশাকে।

নকশা ও পোশাকে একুশ

একুশের পোশাকে ফুটিয়ে তোলার হয় বর্ণমালা আর সাদা-কালোর সাজ। বর্ণমালা মানেই যেন এক টুকরো গর্ব আর ভালোবাসা। এবারের একুশের পোশাকেও তার ব্যতিক্রম থাকছেনা। বর্ণ ও শব্দমালা দিয়ে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়।

মোটিফে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকছে- বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাস। পোশাকের অবয়ব অলংকরণে নানাভাবে বর্ণমালাকে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাসে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গর্বের বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ফ্লোরাল মোটিফ, জ্যামিতিক নকশার সৃজনশীল অলংকরণে তৈরি হয়েছে সালোয়ার-কামিজ, কটি-কামিজ, কুর্তি, লং কুর্তি, সিঙ্গেল কামিজ, কটি-কুর্তি, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট ইত্যাদি।

এছাড়াও শিশুদের জন্যও রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি/টপস্, পাঞ্জাবি, শার্ট ইত্যাদি। একুশের পোশাকের নকশায় বর্ণমালা, ভাষা ও ভাষাশহীদদের পাশাপাশি দেশজ চেতনা ও ঐতিহ্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। নকশিকাঁথার ফোঁড়, ব্লক, স্প্রে-ব্লক, অ্যাপলিক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট এবং অ্যামব্রয়ডারির কাজ দেখা যাচ্ছে অনেক।

সুতির পাশাপাশি তাঁত, মসলিন, সিল্ক কাপড়ের আধিক্য দেখা যাচ্ছে।

আড়ং
আড়ং সবসময়েই ফ্যাশনে অনন্য। তারা এবারের একুশ নিয়ে তাদের আলাদা একটা অংশই রেখেছে, নাম ‘একুশে ২০১৮’। লাল, কালো, সাদা রঙের সঙ্গে আড়ংয়ের পোশাকে আরও আছে ধূসর, সবুজ, নীল, কমলা ইত্যাদি রঙের ব্যবহার। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, শিশুদের পোশাক, ছেলেদের ফতুয়া ও পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

সাদাকালো
একুশ যেহেতু সাদা-কালো রংকে প্রাধান্য দেয়, তাই এই হাউজের দিকে চোখ থাকে সবার। কবি অনিল সরকারের লেখা একুশে ফেব্রুয়ারি কবিতার ‘একুশ বাঁচে অবিরত’—পঙিক্তকে উপজীব্য করে সাজানো হয়েছে এবারের সাদাকালোর আয়োজন। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, উত্তরীয়সহ থাকছে যুগল ও বাবা-ছেলে, মা-মেয়ের একই রকম একুশের বিশেষ পোশাক। কবিতার চরণের সঙ্গে বাংলার বর্ণমালাকে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারিতে।

‘দেশী দশ’
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ‘দেশী দশ’ দেশীয় ফ্যাশনের জগতে সুপরিচিত নাম। তাদের প্রতিটি স্টলেই থাকছে সুন্দর ও নতুন কিছু কালেকশন। অন্য ফ্যাশন হাউজ থেকে আলাদা পোশাক এবং সামগ্রীর প্রতি খেয়াল রেখে তাদের স্টলগুলোকে সাজানো। দেশাল, নগরদোলা, কে-ক্রাফট, অঞ্জন‘স, বিবিয়ানা ঘুরে দেখা গেলো এখানে প্রচুর ক্রেতার ভিড়, বিশেষ করে তরুণদের।

এ ছাড়া শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের বুটিকগুলোতে একুশকে ঘিরে নানা ধরনের পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। আর এখানে দামটাও অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে কম।

এছাড়া অন্যান্য অনেক ফ্যাশন হাউজ যেমন নবরূপা, বাংলার শোভা, বাসন্তী, কারুপল্লী, ফড়িং, মেঘ, ইনফিনিটিতে বিভিন্ন মডেলের পোশাক এনেছে তারা। একুশের মূল বিষয়কে ফুটিয়ে তুলে তারা বিভিন্ন বয়সীদের জন্য চমৎকার কালেকশন তাদের।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭