ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হঠাৎ বিশ্বজুড়ে বিমান দুর্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/02/2018


Thumbnail

বিমান যাত্রাকে বলা হয়ে থাকে যাতায়াতের নিরাপদতম মাধ্যম। তবে সম্প্রতি কয়কটি বিমান দুর্ঘনায় বিমানযাত্রা নিয়েই সাধারণের মনে উদ্বেগ জন্মেছে। সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিমান যাত্রা আসলেই কতটা নিরাপদ? গতকালও ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইস্পাহানে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরোহীদের ৬৬ জনের সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়াতে সারাতোভ এয়ারলাইন্সের এ-১৪৮ বিমানটি অরস্ক শহরের কাছে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপর যাত্রীবাহী বিমানটি ৭০ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীদের সবাই নিহত হন।

অস্ট্রেলিয়া এ বছরটা বিমান দুর্ঘটনার ক্ষত নিয়ে শুরু করেছে । ৩১ ডিসেম্বর সিডনিতে একটি সী প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১১ বছরের শিশু সহ ৬ জন নিহত হন। নিহতদের সবাই ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। নতুন বছরের শুরুতেই কোস্টারিকাতেও দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন মার্কিন পর্যটক।

ইতিহাসে এরকম বিমান দুর্ঘটনার নজির একেবারে কম নয়। বিধ্বংসী সব বিমান দুর্ঘটনায় এক সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত মানুষ। আবার অনেক সময়ই দক্ষ বিমান চালকের কৌশলে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন অনেকেই। স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহতম কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার কথা জানালাম।

১৯৭৭ সালে স্পেনের টেনেরিফে লস রোডিওস বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি যাত্রীবাহী বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বিমানবন্দরের রানওয়েতেই ৫৮৩ জন যাত্রী নিহত হন।

১৯৯১ সালে নাইজেরিয়া থেকে মক্কার তীর্থযাত্রীদের এয়ারওয়েজ চার্টার্ড এ আগুন ধরে যায়। সেই আগুনের কারণে বিমান বিধ্বস্ত হলে নিহত হন ২৬১ তীর্থযাত্রী।

২০০৯ সালে ফ্রান্সের রিও ডি জেনারিও থেকে প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পর আটলান্টিক মহাসাগরের উপর এসে ফ্লাইট ৪৪৭ নিখোঁজ হয়। ঐ ফ্লাইটে ২২৮ জন যাত্রী ছিল। ঘটনার দু’বছর পরে, ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ‘ফ্লাইট এমএইচ ৩৭’ নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর বিমানের ২৩৯ জন যাত্রীর সবাইকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এটি মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রানঘাতী ঘটনা।

২০১৪ সালের জুলাই মাসে মালএশিয়ার যাত্রী বাহী বিপান এমএইচ ১৭ মোট ২৮৩ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। জাত্রীদের মধ্যে ৮০ জন শিশু ছিল। পরে ২০১৬ একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা জানায় রাশিয়ার বাল্ক মিসাইলের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭